Date : 2024-04-26

“আমি চাকরি খাই নি, তাহলে তোমরা খাচ্ছো কেন ?” চাকরি বাতিল নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : নিয়োগ দুর্নীতির জেরে প্রায় রোজ হাইকোর্টে একের পর এক চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। এবার সেই চাকরি বাতিল নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার জানালেন, “যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কিন্তু একটা সুযোগ তো দিন। অন্ততঃ এমন একটা ব্যবস্থা করুন যাতে তারা আবার পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।” মঙ্গলবার আলিপুর জার্জেস কোর্টে ঋষি অরবিন্দের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন মঞ্চে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি।

নিয়োগ দুর্ণীতির মামলায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পাওয়া কয়েক হাজার চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এদিন আলিপুরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরিই সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “এখন রোজ কথায় কথায় তিন হাজার চাকরি বাদ, চার হাজার চাকরি বাদ হচ্ছে। আরে বাবা, সবাই তো আর তৃণমূলের ক্যাডার নয়, সরকারের ক্যাডার নয়।” নাম না করে তিনি বিচারালয়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি বলবো একটু ভেবে দেখতে। কালকেও দুইজন স্যুইসাইড করেছে।

খবরটা শোনার পর থেকেই আমার মনটা খুব খারাপ। চাকরি আছে দেখে হয়তো কেউ বিয়ে করেছে। কার‌ও হয়তো বাবা-মা তার সন্তানের চাকরির উপর নির্ভরশীল। চাকরি গেলে খাবে কি ?” আলিপুর বার অ্যাসোশিয়েশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত কাজে আটকে পড়ায় এদিন তিনি উপস্থিত হতে পারেন নি। সেকথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী কে বলতে শোনা যায়, “প্রধান বিচারপতিকে পেলাম না(এখানে)‌। তাই সুব্রত দা(কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার) কে পেলাম, তাই ওনাকেই বলছি।” কিছুটা ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাকে আপনার পছন্দ নাও হতে পারে, আমার দলকে আপনার নাও পছন্দ হতে পারে, আমার সরকারকেও আপনার না পছন্দ হতে পারে। আমাকে মারুন, যা কিছু করুন, কিন্তু দয়া করে চাকরি খাবেন না।”