Date : 2024-04-19

কোথাও হয়নি দূর্নীতি। তাহলে টাকা আটকে কেন ! কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : আবাস যোজনার বকেয়া টাকা চেয়ে ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিল রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবকে। আবাস যোজনার টাকা না পাঠালে সময়ে বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে‌।

আবাস যোজনায় বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে, এমনই অভিযোগে প্রায় মাস তিনেক ধরে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের অভিযোগ; কটুক্তি, বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ; বিক্ষোভ, শাসকদলের নেতা ঘনিষ্ঠদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া বা আবাস যোজনার তালিকাভুক্ত করা, কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যে আসা ও তদন্ত করে দেখা, সব মিলিয়ে আবাস যোজনা নিয়ে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিধন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জেলায় জেলায় পরিদর্শন করে তাঁদের রিপোর্ট গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে আবাস যোজনায় কোন দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনটাই প্রশাসন সূত্রে খবর। যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকেও বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলকে কটুক্তি করা হয়েছে। শাসক দলের দাবি আবাস যোজনায় কখনোই কোন দুর্নীতি হয়নি, এটা বিরোধীদের রাজ্যকে বদনাম করার একটা অপচেষ্টা ছিল। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতেই তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে আবাস যোজনার টাকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হল রাজ্যের তরফ থেকে। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে খবর, আবাস যোজনায় যখন কোন দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি তাহলে কেন এখনো টাকা আটকে রাখা হচ্ছে ! এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করতে হবে, সেক্ষেত্রে যদি কিস্তির টাকা সময় মত না আসে তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে না। তখন তো আবার সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরি করতে না পারার জন্য রাজ্যকেই দোষারোপ করবে কেন্দ্র। তাই চিঠিতে কেন্দ্রকে আবেদন করা হয়েছে যত শীঘ্র-সম্ভব প্রথম কিস্তির টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হোক। আবাস যোজনার টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার পিছনে একদিকে যেমন প্রশাসনিক কারণ রয়েছে ঠিক তেমনি রাজনৈতিক কারণে রয়েছে। আমলা মহলের বক্তব্য, কেন্দ্র টাকা না দিলে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে যারা আবেদন করেছেন তারা আবার ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতে পারে যা প্রশাসনের চিন্তার কারণ হতে পারে। পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণ হলো, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উপভোক্তার হাতে বাড়ি তুলে দেওয়া গেলে সেক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পাবে। প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক কারণ যাই হোক না কেন আবাস যোজনা নিয়ে বল এখন যে কেন্দ্রের কোর্টে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।