Date : 2024-04-19

দয়া করে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু আমার থেকে এখন পাবেন না। বিধানসভায় ডিএ প্রসঙ্গে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতা আছে। উন্নয়নমূলক সব প্রকল্প চালিয়ে সরকারের যা আর্থিক অবস্থা তাতে এর বেশি ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। বিধানসভায় পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় “দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল’২০২৩” নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সেখানেই ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের কর্মচারী সংগঠনের একটি অংশের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান “সরকারকে অনেক বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয়। বাম আমলে সরকারি কর্মীদের যে বকেয়া ছিল (ডিএ সংক্রান্ত) সেই বকেয়ার ৯৯ শতাংশ ইতিমধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের যে রেকমেন্ডশন সেই রেকমেন্ডেশন মেনে ৬ শতাংশ ডিএ আমরা দিচ্ছি।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পে স্কেল আলাদা, রাজ্য সরকারের কর্মীদের পে স্কেল আলাদা। আমরা সেই পে স্কেল অনুযায়ী ৬ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি।” “বাম আমলের ৯৯ শতাংশ ও এখনকার ৬ শতাংশ, কত হয়, মিলিয়ে নিন, ১০৫ শতাংশ।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন “এর থেকে বেশি এই মুহূর্তে আমি আর পারবো না। কত চাই কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন।” এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে,”আমাদের শুধু রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের কথা ভাবলেই কি চলবে, পেনশনভোগীদের কথা ভাবতে হবে না ! আমরা যদি পেনশন বন্ধ করে দিই তাহলে সরকারি কোষাগারে কুড়ি হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আসবে যা দিয়ে আমরা ঋণ মেটাতে পারবো, উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারব, মহার্ঘ্য ভাতাও দিতে পারব।” বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমি বিরোধী দলের কাছে জানতে চাইছি আপনারা বলুন কি করবো, পেনশন কি বন্ধ করে দেব ? আপনারা যদি বলেন পেনশন বন্ধ করে দিতে তাহলে আমরা সেটা নিয়ে ভাববো।” বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যের নির্যাস এটাই যে এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একাংশ যতই ডিএ নিয়ে আন্দোলন করুক না কেন, সরকার যে এই মুহূর্তে আর অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবছে না তা একপ্রকার পরিষ্কার।