আইপিএলে নিজের খেলা প্রথম দুই ম্যাচেই অর্জুন তেন্ডুলকর বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কোনও কোটা সিস্টেমে দলে আসেননি, বরং একান্তই পারফরমেন্সের সুবাদে দলে এসেছেন। কলকাতার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে 2 ওভারে দিয়েছিলেন 17 রান। গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ইন ফর্মে থাকা হ্যারি ব্রুক, মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের বিপক্ষে বল হাতে ওপেনিং করলেন। সংযত বোলিং করলেন শেষ পর্যন্ত 2 ওভার 5 বলে দিলেন মাত্র 18 রান, নিলেন একটি উইকেট। প্রথম দুই ম্যাচেই তার যা ইকোনমি রেট, তাতেই বোঝা যাচ্ছে তিনি অন্তত সচিনপুত্র হিসেবে নয়, বরং নিজের যোগ্যতাতেই দলের জায়গা পাচ্ছেন। সমালোচকরা বসেই ছিলেন ছঁরি কাঁচি হাতে, অর্জুনের মুন্ডপাত করার জন্য। কিন্তু নাম যার অর্জুন, পুত্র যিনি ক্রিকেট ইশ্বরের, তাকে নিয়ে কাটাছেড়া করা কি এতই সহজ। তাই সমালোচনার কোনও সুযোগ টুকুও দিলেন না। সানরাইজার্সের বিপক্ষে নিলেন ভুবনেশ্বর কুমারের উইকেট। বল হাতে ইনিংস শুরু করা থেকে ডেথ ওভারে বল করতে গেলে যে পরিমাণ নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে, তাই রাখলেন অর্জুন তেন্ডুলকর। শেষ ওভারে বাকি ছিল 20 রান, দিলেন মাত্র পাঁচ রান। শেষ উইকেটটি নিয়ে হায়দরাবাদের ইনিংসেও ইতি টানলেন অর্জুন। ডাগ আউটে বসে থাকা সচিনকে আশ্বস্ত দেখে তার ভক্তরাও হয়ত ইশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। কারণ অর্জুনের সঙ্গে সঙ্গে যে মাস্টার ব্লাস্টারের সম্মানও জড়িয়ে ছিল। ম্যাচ শেষে সচিন ট্যুইট করে গোটা দলকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ছেলেকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, শেষ মেষ এক তেন্ডুলকর আইপিএলেও উইকেট পেল। এখন সাফল্যকে পাখীর চোখ করে এগিয়ে যাক অর্জুন, এটাই আশা ক্রিকেটমহলের।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.