চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচেও বদলালো না স্কোরলাইন। প্রথম লেগের মতোই দ্বিতীয় লেগেও চেলসিকে 2-0 গোলে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে নেমেছিল ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি। প্রথমার্ধে যথেষ্ট আক্রমনও শনায় ব্লুজরা। কিন্তু লেমন ব্রেকের পরই সব অঙ্ক যেন তালগোল পেকে যায় চেলসির। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চেলসি রক্ষণে একের পর এক আক্রমন শনাতে থাকে রিয়াল ফুটবলাররা। গোটা ম্যাচে চেলসির নেওয়া শটের সংখ্যা ছিল 19, যার মধ্যে 6টি ছিল গোলমুখি। কিন্তু আদতে যা দরকার ছিল, সেই ডেডলক আর ভাঙতে পারেনি ব্লুজরা। রিয়াল মাদ্রিদ অবশ্য ম্যাচের 58 মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায়। রডরিগো নিজের প্রথম গোল করে আওয়ে ম্যাচেও রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস থেকে ক্লোজ রেঞ্জে জোড়ালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রডরিগো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে বরাবরই বলা হয়, রিয়াল মাদ্রিদের প্রিয় ট্রফি। কারণ সব থেকে বেশিবার এই ট্রফি স্থান পেয়েছেন লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ট্রফি ক্যাবিনেটে। এই প্রতিযোগিতায় নামলেই যেন শরীরি ভাষা বদলে যায় রিয়ালের ফুটবলারদের, সেটাই প্রমাণ করে দিল রিয়াল-চেলসি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ। 80 মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন সেই রডরিগো। এই গোলটির ক্ষেত্রে রডরিগোকে সাহায্য করে ভালভার্দে। এই জয়ের ফলে শেষ 13 বারের মধ্যে 11 বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছাল রিয়াল মাদ্রিদ। রোনাল্ডোকে ছা়ড়াও রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ভাগ্য যে খারাপ হয়নি, তাই যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন করিম বেঞ্জিমা, রডরিগো, জুনিয়ররা। ঘরের মাঠে চেলসির কুকুরেলা এবং এনগোলো কন্তে গোল করার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাবেই গোলের খাতা খুলতে পারেনি চেলসি। অন্য ম্যাচে নাপোলির সঙ্গে 1-1 গোলে ড্র করে এসি মিলান। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার সুবাদে সেমিফাইনালে পৌঁছায় এসি মিলান।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.