ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের পরই রাতারাতি নায়ক বনে গেছেন মাত্র 19 বছরের সুয়শ শর্মা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে নেমেছিলেন তিনি। যেমন নাম, তেমন কাম। সত্যিই, ম্যাচে ইমপ্যাক্ট ফেলে গেলেন দিল্লির এই বোলার। দিল্লি বোর্ডের প্রত্যক্ষ পা পরোক্ষ সমর্থন পাননি কখনও। দুঃস্থ পরিবারে রয়েছে আরও লড়াইয়ের কাহিনি। বাবা আক্রান্ত দুরারোগ্য রোগে। তারই মধ্যেই চলে তার সাধনার পরীক্ষা। আরসিবির বিপক্ষে বল হাতে একাই নিলেন তিন উইকেট ফেরালেন দীনেশ কার্তিক, অনুজ রাওয়াতের মতো বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। নিলেন কর্ণ শর্মার উইকেটটিও। তাঁকে দ্বিতীয়ার্ধে দলে নিয়ে যে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। কোনও ভুল করেনি তাই প্রমাণ করে দিলেন 19 বছরের ঝাঁবড়া চুলের ছোট্ট ছেলেটা। গতির সঙ্গে সঙ্গেই গুগুলি দিয়েও বারবার প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিপদে ফেললেন এই ডানহাতি লেগ ব্রেক বোলার। নিজের অভিষেক ম্যাচেই এমন পারফরমেন্সে মাথা ঘুরে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই ম্যাচের পর যখন সবাই তাকে নিয়ে আলোচনা এবং উচ্ছাসে ব্যস্ত তখনই হয়ত পোড় খাওয়া কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত,, দলের এই ক্রিকেটারকে কিভাবে হঠাৎ পাওয়া সাফল্যেও মাটিতে পা রাখতে হয় তাই হয়ত শিখিয়ে দিলেন। সুয়শ নিজেও কুলদীপ যাদদের খেলে যাওয়া স্থানে এসে এহেন পারফরমেন্স করতে পারায়, স্রেফ উচ্ছসিতই নন। বরং দলের দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিনের থেকে স্পিনের পাঠটা আরও ভালো ভাবে রপ্ত করে নিতে চাইছেন। যাতে আগামি দিনে স্রেফ আইপিএল নয়,জাতীয় দলের কড়াও নাড়া যায়।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.