Date : 2024-03-29

“এক কোটি স‌ই আমাকে দিন, আমি কথা দিচ্ছি দিল্লির বুক থেকে একশো দিনের টাকা আমি ছিনিয়ে আনবো”-আলিপুরদুয়ারে বললেন অভিষেক

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : একশো দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে দিন তিনেক আগে পঁচিশ জন সাংসদ নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে সেদিন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় নি। মন্ত্রীর দফতরে মেমোরান্ডাম জমা দিয়ে আসেন তৃণমূল সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তবে শুধু মেমোরান্ডাম জমা দেওয়াতেই এই দাবি যে থেমে থাকবে না তা এদিন আলিপুরদুয়ার এর সভা থেকে বুঝিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, “একমাস পরে পঞ্চাশ হাজার লোক ও এক কোটি চিঠি নিয়ে দিল্লি যাবো। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরে যাবো।”

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে একশো দিনের কাজের টাকা আটকে থাকা গলায় কাঁটার মতো বিঁধছে তৃণমূল কংগ্রেসের। গ্রামাঞ্চলে একশো দিনের কাজ করা শ্রমিক টাকা পাচ্ছেন না। প্রাপ্য না পাওয়ার রাগ যাতে রাজ্যের শাসক দলের উপর না পরে তার জন্য কেন্দ্রের দিকেই অভিযোগের তির ঘুরিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির অভিযোগ একশো দিনের কাজে দূর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা আটকে রেখেছে দিল্লি। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের জ্বালা মেটাতেই টাকা আটকে রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। টাকা আটকে রাখা নিয়ে দিল্লির সরকারকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “এরা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত্রু নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত্রু নয়। এরা বাংলার শত্রু, আপনার শত্রু।” একশো দিনের টাকা আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। ১৬ এপ্রিল থেকে সারা রাজ্য জুড়ে স‌ই সংগ্রহ করা হবে। অভিষেকের কথায়, “মানুষের হকের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। বকেয়া আদায় যতদূর যাওয়ার আমরা যাব। বাংলার মানুষকে ভাতে মারলে ছেড়ে কথা বলবো না।”

বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “টাকা না দিলে দিল্লি স্তব্ধ করে দেব। একশো দিনের টাকা আদায় করেই ছাড়বো। সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। মানুষকে ভাতে মারার পরিকল্পনা বিজেপির। আপনারা যদি বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চান, তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না।” রীতিমতো হুমকির সুরে অভিষেক বলেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা যদি না ছাড়ো তোমার মন্ত্রক চলতে দেব না।” তাঁর বক্তব্য, “দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে ঢোকান, বিরোধিতা করবো না। মনে রাখবেন, তৃণমূল চোরদের আগলে রাখে না।”