সঞ্জু সুর , সাংবাদিক : আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনে আর জবর দখল করা যাবে না। লড়াই করে জিতে আসতে হবে। মৌরসিপাট্টা চলবে না। দুর্নীতিগ্রস্থদের কাউকে প্রার্থী করা হবে না। সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের শাসক দল হওয়ায় ভালো ফল করার বিষয়ে তাদের দায় টা বেশি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পিছু ছাড়ছে না ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপট। একজোটে সব বিরোধী দলের অভিযোগ ছিলো গায়ের জোড়ে মনোনয়ন জমা দিতে না দিয়ে রাজ্যের আশি শতাংশ এর বেশি পঞ্চায়েত জবর দখল করেছে তৃণমূল। সে সময় তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাই আড়ালে আবডালে সেই অভিযোগকে স্বীকারও করে নিয়েছিলো। বিশেষ করে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই অন রেকর্ড সে কথা স্বীকার করে নেন। এবার যাতে আর ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি না হয়, এখন থেকেই তা নিয়ে সতর্ক করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, সোমবার ক্যামাক স্ট্রিট থেকে যে ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক যোগ দেন সেখানে তিনি একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সবাইকে। সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক বলেন, “বিধায়ক বা সংসদদের যেমন অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে জিতে আসতে হয়, পঞ্চায়েতেও এবার তাই হবে। গা-জোয়ারি করে ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আসবো, এবার এসব হবে না।” ২০১৮ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেক বলেন,”১৮-র জন্য ১৯ এর ভোটে আসন কম পেয়েছিলাম। এবার তা হবে না।” ২০১৮ তে বিরোধীদের অভিযোগ ছিলো তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাই দিতে দেওয়া হয় নি। সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেকের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, দরকার হলে ১০০ শতাংশ আসনে লড়াই হবে। প্রয়োজনে রাজ্য থেকে নেতৃত্ব পাঠিয়ে বিরোধীদের নমিনেশন জমা করানো হবে। এদিকে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই চোরাস্রোত শুরু হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। চোপরায় গুলি চলেছে। দুজন মারা গিয়েছে। সেসব কথা মাথায় রেখে এদিন বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সূত্রের খবর অভিষেক অভিযোগ করে বলেন, মৌরসিপাট্টা চলবে না। যে সব নাম পাঠানো হয়েছে তাদের ৫০ শতাংশ তো দূর্নীতিতে যুক্ত। এদিন তিনি আবার মনে করিয়ে দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই প্রার্থী ঠিক করবে, জেলা কিছু করবে না। এদিন অভিষেকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের সব জেলার জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি সহ গ্রামাঞ্চল কেন্দ্রিক বেশকিছু বিধায়ক।