Date : 2024-04-19

আফগানিস্তানের দুই প্রদেশে নারীদের ইদ উদযাপনে বাধা তালেবান সরকরের

অনুপমা দাস,কাবুল – শিক্ষার পর এবার নারীদের উৎসব পালনে হস্তক্ষেপ তালিবান সাম্রাজ্যে। আফগানিস্তানের দুই প্রদেশে নারীদের ইদ উদযাপনে বাধা দিল তালেবান সরকার। দেশের উত্তর বাঘলান ও তাখার প্রদেশের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ইদ -উল-ফিতরের দিনগুলোতে দলবদ্ধভাবে নারীদের বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

যদিও এই নির্দেশ সারা আফগানিস্তান জুড়ে প্রযোজ্য নয়, তবে আফগান নারীরা যে নিজের দেশেই তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হয়েছে তা স্পষ্ট বিশ্বের কাছে। কিছুদিন আগেই দেশের হেরাত অঞ্চলে সন্ত্রাসী সংগঠনটি বাড়ির বাইরে বিভিন্ন জায়গায় পরিবার এবং মহিলাদের নিয়ে খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ করার পরই দুই প্রদেশের এই সিদ্ধান্তটি সামনে আসে।

কর্তৃপক্ষের দাবি, মূলত নারীদের অন্য লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে এবং কঠোর হিজাবের নিয়ম লঙ্ঘনের উপর নজর রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তালেবান আফগানিস্তানের প্রধান দুটি শহরে গর্ভনিরোধক বিক্রি বন্ধ করেছে। তাদের বক্তব্য, নারীদের দিয়ে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করানো পশ্চিমের দেশগুলির মুসলিম জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার এক ষড়যন্ত্র।

এর আগে তালেবান সরকার মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মহিলাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে, মহিলাদের কর্মক্ষেত্র থেকে বের করে দিয়েছে, এমনকি নানা বিধিনিষেধ জারি করে তাদের বাড়ি থেকে বেরোনোর ক্ষমতাও সীমিত করেছে।

অন্যদিকে, সপ্তাহের শুরুতেই আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আরবি, দারি, ইংরেজি, পশতু এবং উর্দু – এই পাঁচটি ভাষায় দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ঈদের বার্তা দেন। শুধু তাই নয়, বার্তার শেষে, তিনি ২০০১-এর আগস্টে তালেবান প্রশাসনের দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে “অগ্রগতি” করার জন্য প্রশংসা করেন।

অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে নোবেলজয়ী মালালা ইসুফজাই টুইটারে লেখেন, “সারা বিশ্বের মুসলমানরা যখন ঈদের জন্য জড়ো হচ্ছে, তখন আমার হৃদয় আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের ভাবায়। কারণ তালেবান দেশের দুই প্রদেশে নারীদের নিজেদের পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।