সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: কুন্তলের চিঠি নিয়ে শনিবার দীর্ঘ সাড়ে ৯ঘন্টা ধরে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বেরিয়ে এসে তিনি জানান এই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শুন্য। আর তার পরেই ফের সরব কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুললেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন তার চিঠিতে একাধিক বার জানিয়েছেন কিভাবে শুভেন্দু অধিকারী তার থেকে টাকা নিয়েছিলেন তাহলে সারদা মামলায় কেন তাকে ডাকা হবে না?
সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কুণাল বলেন, ”অভিষেকের এবারের নবজোয়ারে আগের থেকেও বেশি জোশ বেশি মানুষ এসেছেন। যারা তার এই তলবে খুশি হয়েছিলেন আগামী দিনে তাদের অনেক কাউকে রাজনৈতিক শোকসভা করতে হবে। শনিবার সিবিআই অভিষেককে ডেকে নবজোয়ারকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। মানুষ বলছেন বাংলার ছেলে এগিয়ে চল আমরা পাশে আছি। একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল নবজোয়ারে বিঘ্ন ঘটানো যা বিজেপি পারবে না”
তিনি বলেন ”সুদীপ্ত সেন আদালতে চিঠি দিয়েছেন। এবার কাঁথি পুরসভায় সারদার একাউন্ট থেকে টাকা গেছে কি না জানা সেটা ক্লিয়ার হোক। ৫০ লক্ষ টাকা ড্রাফটে গেছে আর ২০ লাখ ক্যাশ যার কোন রিসিট নেই সুদীপ্ত সেন নিজেই জানিয়েছেন। সুদীপ্তর চিঠি কে লিখেছে সেটা সংবাদ মাধ্যম বারবার দেখাচ্ছে কে কারণ প্রশ্ন এটা নয়। সুদীপ্ত সেন তো নিজে বলেইছেন শুভেন্দু তাকে ওখানে নিয়ে গেছেন তাহলে সেটা নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না?”
তিনি বলেন “বিরোধী দলনেতা চোর চিটিংবাজ কাপুরুষ।
আমাদের ভয় নেই। অভিষেক আগেও গেছে এবারও গেছে। তবে এটা তো অকারণ ডাকা। শুভেন্দুর মত ডিল তো করেনি। ইডি সিবিআই কাঁথি যান আগে। আপনারা সব জায়গায় যেতে পারেন শুভেন্দুর এলাকায় নয় কেন?
অন্য কোন জায়গা থেকে সারদার টাকা উদ্ধার করতে পারলে কাঁথি থেকে নয় কেন
এই শুভেন্দুই বলেছিল এক সময় মোদী হটাও দেশ বাঁচাও। আজ সাধু সাজছে। বিজেপির ছেলেরা বলছে দলের টাকায় কংগ্রেস সিপিএম চলছে।”
কুণালের অভিযোগ “কুন্তল একটা চিঠি পাঠাল যেই অভিষেককে ডাকা হল। সুদীপ্ত সেনও তো করেছেন তাহলে শুভেন্দুকে ডাকা কেন হচ্ছে না। শুভেন্দুর বাবা মমতার দয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।শুভেন্দু অতৃপ্ত আত্মার মত যাকে তাকে চিঠি লিখছে।
এত তথ্য এত প্রমান থাকা সত্বেও কেন তদন্ত হবে না বলুন তো?”