আরও একবার বঞ্চনার শিকার বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমান সাহা। ব্যাট হাতে আইপিএলে জোলে উঠেছিলেন বঙ্গ সন্তান ঋদ্ধিমান সাহা। একই সঙ্গে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়া শুরু করে দিয়েছিলেন বাংলার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। কোনও দাদা অথবা সংস্থার জোড়ে নয়, বরং একান্তই পারফরমেন্সের দৌলতে। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে এই মরসুমে অনবদ্য পারফরমেন্স করছেন ঋদ্ধি। কখনও ব্যাট হাতে বড় রান তো কখনও উইকেটের পিছনে অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ নিচ্ছেন। যা প্রশংসা কুড়িয়েছে দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার। তবে জাতীয় দলে তার ফেরার সম্ভাবনা বন্ধ করে দিলেন জাতীয় নির্বাচকরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দলে তাকে নেওয়া হয়নি। কিন্তু লোকেশ রাহুলের ছিটকে যাওয়ায় ফের একবার তাকে দলে নেওয়ার সমভাবনা ছিল। অবশ্য নির্বাচকরা নিরপেক্ষভাবে বিচার করলে তবেই সমভব হত তার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কোয়াডে ঢোকা। কারণ ইংল্যান্ডের গ্রিন টপ উইকেটে বল সুইং বেশি হয়। তাই সেখানে একজন অভিজ্ঞ ব্যাটারের পাশাপাশি বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষককে নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ ছিল। স্রেফ বয়সের কারণে দল থেকে বাদ পড়ার তাই কোনও যে যৌক্তিকতা নেই, তা বলাই বাহুল্য। তবুও অভিজ্ঞ ঋদ্ধির ওপর ভরসা না রেখেই ইষাণ কিষাণকে দলের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা। সোমবারই লোকেশ রাহুলের পরিবর্ত হিসেবব মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইষাণ কিষাণের নাম ঘোষণা করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেট পারফর্ম করে মাহির পরামর্শে যদি টেস্ট দলে আজিঙ্কা রাহানে ঢুকতে পারেন, তাহলে গুজরাটের জার্সিতে ব্যাট এবং গ্লাভস হাতে অসাধারাণ পারফরমেন্সের জন্য ঋদ্ধিমান সাহাও ঢুকে পড়তে পারতেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভারতীয় স্কোয়াডে। লক্ষ্মৌয়ের বিপক্ষে ঋদ্ধির ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি বিরাট কোহলি নিজেও। ঋদ্ধির 43 বলে 81 রানের ইনিংসের প্রশংসা করে সঙ্গে সঙ্গেই ট্যুইট করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও চাইছিলেন চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে ঋদ্ধিমান সাহাকেই টেস্ট দলে ফেরানো হোক। যদিও বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের উইকেটেও অভিজ্ঞতার থেকে আগে তারুণ্যকে সুযোগ দিতে গিয়ে বাংলার ছেলে ঋদ্ধির সঙ্গে আরও একবার বঞ্চনাই করলেন।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.