রবিবার আইপিএলে মাস্ট উইন ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রতিপক্ষ শক্তিশালি চেন্নাই সুপার কিংস। এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত 12টির মধ্যে মাত্র 5টি ম্যাচে জিতেছে কেকেআর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপের মধ্যে রয়েছে নাইটরা। বাকি প্রত্যেকটি ম্যাচই এখন জিততে হবে কলকাতাকে, তবেই সমভব প্লে অফের টিকিট হাতে পাওয়ার। অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংস এই ম্যাচ জিতলেই প্লে অফের টিকিট হাতে পেয়ে যাবে। চেন্নাইয়ের চিদাম্রম স্টেডিয়াম বরাবরই ব্যাটারদের জন্য স্বর্গরাজ্য বলা যায়। প্রায় প্রতি ম্যাচেই বড় রান উঠছে। স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পেতে পারে মিডল ওভারে, বল একটু পুরোনো হলে। এই মরসুমে এই মাঠে প্রথমে ব্যাট করা দলই অধিকাংশ ক্ষেত্রে জিতেছে। চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচেই প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছে। 28বারের সাক্ষাতে 18 বারই কলকাতাকে হারিয়েছে সিএসকে। কলকাতা জিতেছে 9বার। চলতি মরসুমে প্রথম সাক্ষাতে নাইটদের 49 রানে হারিয়েছিল মাহির দল। সেবার দুই ইনিংস মিলে উঠেছিল 400-র বেশি রান। শেষ ছয়টি হোম ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জিতেছে সিএসকে, যা কেকেআর ম্যাচের আগে বা়ড়তি স্বস্তি দিচ্ছে দক্ষিণ ভারতের এই দলকে। সেদিক থেকে রাজস্থানের বিপক্ষে লজ্জার হারের পর একদমই কোনঠাসা কলকাতা। অধিনায়কের ব়ড় ভুলই যে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেছে লিগে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নেটরান রেটেও বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেছে নাইটরা। সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলের টানা ব্যর্থতা দলের শক্তি বাড়ানোর পরিবর্তে দলের বোঝায় পরিণত হয়েছে। না তাদের বসানো যাচ্ছে। না ব্যাটে, বলে সেভাবে ছন্দ পাচ্ছেন দুই ক্যারিবিয়। শর্দুল ঠাকুরকে দলে রাখলেও তাকে বোলিং করানো যাচ্ছে না বেশি। স্রেফ প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের অভ্যন্তরিণ প্রতিকুলতাই বেশি সমস্যার কারণ নাইট অধিনায়ক নীতিশ রানার। যদিও রানার নিজের ফর্ম স্বস্তি দিয়েছে তাকে। কলকাতার জার্সিতে রানা ছাড়া ভেঙ্কটেশ আইয়ার,রিঙ্কু সিং এবং বরুণ চক্রবর্তী ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন। বাকিরা কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। সেটাই প্রধান চিন্তা কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের। এখন দেখার সিএসকে হার্ডেল টপকে প্লে অফের আশা জিইয়ে রাখতে পারে কিনা নাইটরা।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.