সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বর্তমানে দেখা যায় বেশির ভাগ মানুষেরই ৩০ বছর হওয়ার আগে বা ৩০-এর কোঠায় যাওয়ার পরেই চুল পেকে যাচ্ছে। চুল পাকার পিছনে এখন আর শুধু বয়স নয় দায়ী আরও অনেক কিছু। খাওয়া-দাওয়া, জীবন- যাপন সহ নানান বিষয় রয়েছে চুল পাকার কারণ হিসেবে।
জিনগত কারণে অকালপক্কতা হতে পারে। তবে নিম্নক্ত কারণ গুলিও দায়ী অসময়ে চুল পাকার জন্য।
বেশি দুশ্চিন্তা করলে চুল পাকতে পারে অসময়ে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে অকালপক্কতা হতে পারে। এছাড়াও ভিটামিন বি- ৬, বি- ১২, বায়োটিন, ভিটামিন- ডি এবং ভিটামিন- ই-এর ঘাটতি থাকলে প্রি- ম্যাচিওর হেয়ার গ্রোয়িং হয়।
শরীরে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, আয়রনের অভাব থাকলেও অসময়ে চুল পেকে যায়।
চুলের সঠিক যত্ন না হলে, পলিউশন ও সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ফলেও কালো চুল সাদা হয়ে যায়।
চুলকে অকালপক্কতার হাত থেকে বাঁচাতে যা করণীয় তা হল, চুলের যত্ন করতে হবে। চুলে সানব্লক লোশন বা সিরাম লাগিয়ে বাইরে বেরোন প্রয়োজন।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন থেকে বিরত থাকা দরকার। ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। দুশ্চিন্তা বন্ধ করা দরকার। ধূমপানের ত্যাগ করতে হবে।
কী কী করণীয়- বংশে অকালপক্কতার প্রবণতা থাকলে সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
ভিটামিনে ভরপুর খাবার খেতে হবে। শাক-সবজি, ফল, মাছ, মাংস, ডিম দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে ভিটামিন সাপলিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
কোনওভাবেই যাতে শরীরে ক্যালশিয়াম, আয়রন বা প্রোটিনের ঘাটতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চুলের যত্ন নিতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন রাখতে হবে।