Date : 2024-04-27

“পুলিশি কলে” নজরদারি পুলিশেরই

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক – তদন্তে স্বচ্ছতা বাড়াতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কলকাতা পুলিশ। এবার নিজেদের কর্মীদের “কলে” নজরদারি চালানো শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। ট্রাফিকের সার্জেন্টরা বা থানায় যে সব পুলিশ কর্মীরা “ম্যানপ্যাক” ব্যবহার করেন তাঁদের সমস্ত কল রেকর্ড করা হচ্ছে এবং তার ডেটা বেস থাকছে লালবাজারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাফিক সামলানোর সময় বা যেকোনও বড় কর্মসূচীর ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য আদান- প্রদানের জন্য “ম্যানপ্যাক”কে কথা বলার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে পুলিশ কর্মীরা। এতদিন এই কল রেকর্ড করা হত না।

তবে বর্তমানে ম্যানপ্যাকের সমস্ত কল রেকর্ড করা হচ্ছে এবং তার ডেটা বেস থাকছে লালবাজারে। যদিও এই কল রেকর্ড থাকলেও তা নিজেরা শুনতে পারবে না পুলিশ কর্মীরা। প্রয়োজনে উচ্চ- পদস্থ আধিকারিকদের অনুমতির পরেই কল রেকর্ড ডেটা বেস থেকে বের করা সম্ভব বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে নিজেদের কর্মীদের কাজের স্বচ্ছতা রাখা যাবে বলেই মনে করছেন লালবাজারের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা। এই সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা থাকলেও অনেক পুলিশ কর্মীই বিষয়টিকে অন্য রকম ভাবে দেখছেন।

পুলিশ কর্মীদের দীর্ঘ ১০-১২ ঘন্টা বা তারও বেশি সময় কাজ করতে হয়। দীর্ঘ ডিউটির সময় হওয়ায় তাঁরা “ম্যানপ্যাক”এর মাধ্যমে অনেক সময় ঠাট্টা-ইয়ার্কি বা ব্যক্তিগত কথা বলে থাকেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে এই সমস্ত কথাতেও নিষেধাজ্ঞা হয়ে গেল। কাজ সংক্রান্ত কথা ছাড়া আরও কোনও কথা বলা যাবে না “ম্যানপ্যাক”এর মাধ্যমে বলে দাবি পুলিশ কর্মীদের একাংশের।
বিগত দিনে দেখা গেছে পুলিশের বডি ক্যামেরা স্বছতা এনেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। নতুন এই সিদ্ধান্ত কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে সেটাই এখন দেখার!