ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পান নি সরফরাজ খান। ফিটনেস এবং শৃঙ্খলার কারণে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছিল বিসিসিআইয়ের এক সুত্র। এরপরই সরফরাজের হয়ে ব্যাট ধরেছেন প্রাক্তনিরা। সুত্রের খবর, বিসিসিআইয়ের স্কোয়াডে ঢুকতে গেলে ইয়ো ইয়ো টেস্টে 16.5 পয়েন্ট ফিটনেস লাগে, এবং সেই ফিটনেসের মাপকাঠি সহজেই পেরিয়ে গেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত ফর্মে থাকা সরফরাজ খান। রণজি-সহ ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এই মুম্বইকরের ব্যাট দুরন্ত গতিতে চলেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই দলে জায়গা না পাওয়ায় সরফরাজের পাশেই দাঁড়িয়েছে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা। শতরান থেকে দ্বিশতরান, গত দুবছরে ব্যাট হাতে একের পর এক ইনিংসে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছেন এই ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবুও ফিটনেসের কারণে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ায় বিরক্ত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার ক্রিকেট সংস্থার একাংশ। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা দুদিন ব্যাটিং করার পর ফের পরের দুদিন ফিল্ডিংও করেছেন সরফরাজ, ফলে ফিটনেসের তত্ব খাটছে না। যদিও অনেকে মনে করছেন রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন নিজের ড্রেসিং রুমের দিকে তার উচ্ছাস প্রকাশের ভঙ্গি পছন্দ হয়নি জাতীয় নির্বাচকদের। কারণ ড্রেসিং রুমে সেই সময় নির্বাচকরাও ছিলেন। দিল্লির বিরুদ্ধে শতরানের পর সরফরাজের করা এক অঙ্গভঙ্গি নির্বাচকদের পছন্দ হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই কারণেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জল্পনা চলছে। এছাড়াও মধ্য প্রদেশের এক সময়ের কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিতও নাকি সরফরাজের এক কর্মকান্ডে বিরক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও এই ব্যক্তিগত কারণগুলি সম্মিলিত করেই শৃঙ্খলার কথা বলে সরফরাজকে স্কোয়াডে রাখআ হয়নি কিনা, সেই নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.