কড়া শাস্তির মুখে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সরণ সিং। মহিলা কুস্তিগিরদের ওপর যৌন হেনস্থা অভিযোগ প্রমাণিত। দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে উল্লেখ। মহিলাদের যৌন হেনস্থা, উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মোট ছটি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে 354 এবং 354 এ-র মতো ধারা। যেখানে দোষি প্রমাণিত হলে রয়েছে হাজতবাসের আশঙ্কাও। 100জনেরও বেশি সাক্ষ প্রমানের বয়ান রেকর্ডের পর এই চার্জশিট তৈরি করা হয়। যে ঘটনা ব্রিজভূষণ সরণ সিং ঘটিয়েছে, তা এক নয় একাধিক বার হয়েছে। এমনই উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। জুলাইয়ের 18 তারিখ বিজেপির এই সাংসদকে হাজিরা দিতে হবে আদালতে। দীর্ঘ চার মাস ধরে কুস্তিগিরদের লাগাতার প্রতিবাদের পর অবশেষে দেশজুড়ে সমালোচিত হন বিজেপি নেতারা। নারীদের ওপর এহেন নির্যাতনের পরও কেন্দ্রের শাসক দল সেভাবে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। এমনকি দিল্লি পুলিশ অভিযোগও নিচ্ছিল না। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন কুস্তিগিররা। আদালতের নির্দেশেই শেষ পর্যন্ত দায়ের হয় এফআইআর, শুরু হয়ে তদন্ত। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য না করায় হরিদ্বারের গঙ্গায় নিজেদের অলিম্পিক পদক বিসর্জন দিতে যান। তারপরই ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিষয়টি একটু ঠান্ডা হয়। এরপর অনুরাগ ঠাকুরের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো সঠিন সময় চার্জশিট সহ সবই প্রকাশ্যে আনা হয়। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, বারংবার সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া ব্রিজ ভূষণ সরণ সিং সত্যিই এই ধরনের নোংড়া ঘটনাই ঘটিয়েছেন কুস্তি সংস্থার সভাপতি হওয়ার ক্ষমতার অপব্যবহার করে। বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা পিছু না হটে লাগাতার প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে গেছিলেন। শেষমেষ সেই প্রতিবাদেরই ফল হাতে নাতে পেরে পারে নির্যাতিতা কুস্তিগির এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রতিবাদি কুস্তিগিররা।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.