কুস্তিগিরদের ঐক্য কি তবে ভাঙনের পথে, উঠছে প্রশ্ন। ভিনেশ ফোগত এবং বজরং পুনিয়াকে সরাসরি এশিয়ান গেমসে সুযোগ দেওয়ায় বিরক্ত তাদের সঙ্গে কুস্তি আন্দোলনের আরেক প্রধান মুখ তথা অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। আগেই ভিনেশ, বজরংদের সরাসরি সুযোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কুস্তিগিরদের একাংশ। কেন তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হল এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সরব হয়েছিলেন কুস্তিগিররা। তারা প্রধানমন্ত্রীকেও ট্রায়ালের স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। এরই মধ্যে দুই কুস্তিগিরকে সরাসরি এশিয়ান গেমসে সুযোগ দেওয়া নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন সাক্ষী মালিক। তার মতে, কেন্দ্রীয় সরকার এই ভাবেই কুস্তিগিরদের মধ্য মতবিরোধ তৈরি করে তাদের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে। সাক্ষী বলেছেন, তার কাছেও প্রস্তাব ছিল ট্রায়াল ছাড়াই এশিয়ান গেমসে যাওয়ার। যদিও তিনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র একটু সময় চেয়েছিলেন যাতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সেড়ে ফেলা যায়। কিন্তু সময়ের দেওয়ার বদলে এক ধাপ এগিয়ে ট্রায়াল ছাড়াই দুই কুস্তিগিরকে সরাসরি গেমসে সুযোগ দেওয়ায় ক্ষুবধ সাক্ষী মনে করছেন এটাই কেন্দ্রেরই একটি চাল তাদের আন্দোলনের মুখ বদলে ফেলার জন্য। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারই জামিন পান কুস্তিগিরদের যৌন নির্যাতনকান্ডের মুল অভিযুক্ত ব্রিজ ভূষণ সরণ সিং। বিজেপির এই সাংসদ তথা জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধানকে জামিন দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। তার সঙ্গী বিনোদ তোমারকেও আগাম জামিন দেওয়া হয়েছিল। 25 হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এই দুজনকে জামিন দেয় দিল্লির আদালত। দিল্লি পুলিশ তাদের জামিনের বিরোধিতা করেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সহজেই জামিন পেয়ে যান এই সাংসদ। জামিনে থাকাকালীন দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না ব্রিজভূষণ সরণ সিং। নির্যাতিতা বা সাক্ষীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন না তিনি। ফলে কুস্তিগিরদের লড়াই যে আবার ধাক্কা খেয়েছিল, তা বলাই যায়। এরই মধ্যে সাক্ষী মনে করছেন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্য ফের যদি কুস্তিগিররা আন্দোলনে নামে। তার জন্যই প্রতিবাদিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে এই চাল দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।