রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েতের ফলাফল বেড়োতে না বেড়োতেই দিকে দিকে লিড নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বহুক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের বিপক্ষে অভিযোগ, তারা সন্ত্রাস এবং জোর জুলুম চালাচ্ছে। ব্যালট বাক্স জলে ফেলা থেকে শুরু করে কাউন্টিং স্টেশনে বহিরাগতদের ভিরের অভিযোগ আসছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ, কোনও কার্যকারি ভুমিকাই নিচ্ছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশনা রাজীব সিনহা। যদিও সেই অভিযোগ উড়ে দিয়েছেন কমিশনার।
রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, “আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি দেখেছি, রিপোর্ট নিয়েছি, তারপর রিপোলের অর্ডার দিয়েছিলাম। কয়েকটি জায়গায় কাউন্টিং একটু দেরি হয়েছে, বাকি সব জায়গায় সময়েই শুরু হয়েছে। ৩৬ হাজার ৭০০ পুলিশ কাউন্টিং সেন্টারে রয়েছে। আমরা সিএপিএফের কাছে জানতে চেয়েছি তারা কোথায় কোথায় এরিয়া ডমিনেশন এর কাজ করছে। দুই তিনটি জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছিলাম। কাউন্টিং সেন্টারের ডিটেইলিং করেছি গতকালকেই। এটা আগে হতো না। এবারই প্রথম হয়েছে। আমাদের কমিটমেন্ট রয়েছে, গননা যাতে ভালো করে হয়। কোনো অভিযোগ পেলেই তার ব্যবস্থা নিয়েছি। কয়েকটি জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে। কয়েকটি ঘটনাকে সারা রাজ্যের ঘটনা বলে বলা হচ্ছে। সেটা কিন্তু সারা রাজ্যের চিত্র সেরকম নয়। যেহেতু ত্রিস্তরীয় নির্বাচন, তাই গননায় কিছুটা সময় লাগবে। ভোটের দিনে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাকি যে মৃত্যুর খবর আসছে বা এসেছে (ঘোষণা থেকে এখনও পর্যন্ত) সেটা পুলিশের সঙ্গে কমপ্লাই করতে হবে। বিরোধীরা রিপোলের যে তালিকা দিয়েছেন সেটা তারা দিতেই পারেন। কিন্তু আমরা তো একটা পদ্ধতির মাধ্যমে সেই হিসাবটা করি। জেলা থেকে হিসাব আসে, তারপর আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর নিই। শেষে তার উপর নির্ভর করে রিপোলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদি কোথাও কোনো গননা কেন্দ্রে অনুমতি ছা়ড়া কেউ ঢোকে তাহলে সে যেই হোক না কেন তাকে বের করে দিতেই হবে। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল বা সাধারন মানুষের এটাই মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভালো হতো। ওদের (বিএসএফ) ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যানে স্পর্শকাতর বুথের বিষয় কিছু ছিলো না। তখনই ওদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো এটা জেলাশাসকদের থেকে নিতে হবে। যদি ওরা সেটা নাই পেত তাহলে স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী নিয়োগ করলো কি করে ?”