Date : 2024-05-05

রাজ্যের ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী উপাচার্য।সরব শিক্ষাবিদ মহল।

সাংবাদিক নাজিয়া রহমান : রাজ্যের ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী উপাচার্য। এক অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বাঁচাতে এবার সরব প্রাক্তন উপাচার্যরা সহ শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বর্তমানে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। উপাচার্য ও ডিনের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি রাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার ফলে চরম সমস্যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় বাচাঁতে এবার সরব রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রাক্তন উপাচার্য সহ একাধিক শিক্ষক সংগঠন। প্রাক্তন উপাচার্যের পক্ষ থেকে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবি তোলা হয়। স্থায়ি উপাচার্য না থাকায় অচলাবস্থার মধ্যে চলে যাচ্ছে বলে বক্তব্য তাঁদের।

সোমবার প্রেসক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেব নারায়ণ বন্দোপাধ্যায়, ডায়ামন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা মুখার্জি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ সহ একাধিক প্রাক্তন উপাচার্য।

প্রাক্তন উপাচার্যদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও, শিক্ষা বাঁচাও- শ্লোগানে সরব অধিকাংশ শিক্ষক সংগঠন। স্থায়ী উপাচার্য সহ ৯ দফা দাবিতে প্রেস ক্লাবে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন জুটা, কুটা সহ ১৪টি শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল বিধানসভায় পাশ হলেও তাতে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় পাস হয়, দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২। সেইসময় রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনকড়। বর্তমানে তাঁর জায়গায় রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বদলে গেলেও, সেই বিলে এখনও সম্মতি মেলেনি! এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য করার দাবি জানালেন, সরকারপন্থী প্রাক্তন উপাচার্যরা।  সেই বিলে সই করার সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল তথা আচার্যই নিতে পারেন বলে জানান তাঁরা। কিন্তুু সরকারপন্থী প্রাক্তন উপাচার্যদের একাংশের মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য করার পক্ষেই মত তাঁদের। সম্প্রতি পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করা হয়েছে বলে উদাহরণ স্বরূপ জানান উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র।

কিন্তু অন্য দিকে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি আচার্যের পদে বসেন এমনটা চাননা শিক্ষক সংগঠনের একাংশ। কোনও শিক্ষাবিদকে ওই পদে বসানো হোক এমনটাই তাদের দাবি বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলির।

১অগস্ট রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবেন ওয়েবকুটা, জুটা সহ একাধিক বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির যদি দ্রুত সমাধান না ঘটে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাটবেন তারা সংগঠনের প্রতিনিধিদের।