Date : 2024-04-29

রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার মাছের আতঙ্ক অ্যামেরিকায়

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক

রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার মাছের আতঙ্ক অ্যামেরিকায়। মৎস্যজীবী ও পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ল্যাম্প্রে মাছের পুনরাবির্ভাব ঘিরে। করোনার আগে এই মাছের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। কিন্তু করোনাকালে সেই ব্যবস্থাপনায় ছন্দ কাটায় ফের সংখ্যায় বাড়তে থাকে এই রক্তচেষা মাছ। এখনই এই মাছের জন্ম নিয়ন্ত্রণে আনা না হলে পরবর্তীকালে যা এক ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে মত মৎস্য বিজ্ঞানীদের।

এই পরজীবী প্রাণদের বিপন্ন হিসেবেই ধরা হত। কিন্তু নতুন করে এই মাছের সংখ্যাবৃদ্ধি বেশ উদ্বেগ বাড়িয়েছে মৎস্য বিজ্ঞানীদের মনে। ৬ থেকে ১২ ইঞ্চির মত লম্বা হয় এই পরজীবী। এই মাছের দু ধরনের দাঁত হয়। একটি দাঁত দিয়ে আর ধরে আরো একটি দাঁত দিয়ে তারা সেই শিকারের রক্ত চুষে খায়। প্রধানত ছোট মাছ, পোকামাকড় ধরে খায় এরা। তবে এই ধরণের মাছের দ্বারা মৎস্যজীবী ও পর্যটকেরাও অনেক সময়ই আহত হন। ধরা হয় ডাইনোসরের আগে থেকেই এই মাছের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু ক্রমশ পৃথিবী প্রগতিশীল হয়েছে। তৈরি হয়েছে শিল্প কলকারখানা। কর কারখানা দূষণের ফলে সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করে। কিন্তু করোনার পরবর্তীকালে ফের এই মাছের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। যদিও সুপিরিয়র হ্রদ, মিচিগান হ্রদ, , ইরি হ্রদের মতো বহু জলাশয়ে ওই মাছের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।