Date : 2024-05-04

ঘটনার ১৩দিন পর ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ অরিত্র- র

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে এখন খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যে র‍্যাগিং-এর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ জন। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তনী। পুলিশের কাছে গুরুতর অভিযোগ না থাকলেও সন্দেহের তালিকায় নাম ওঠে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু। ঘটনার পরদিন থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। ঘটনার ১৩দিন পর ফেসবুক পেজে আত্মপ্রকাশ করলেন অরিত্র।দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে নিজের অনুপস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পেজে অরিত্র বক্তব্য, সে অরিত্র মজুমদার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণা করেন। ৯ আগস্ট রাতে মেন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর পর ১০ তারিখই কলকাতা ছাড়েন তিনি। চলে যান কাশ্মীরে, গ্রেট লেকসে ট্রেকিং করতে। আর সেই এলাকায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। সেই কারণে এতদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার আরও বক্তব্য, এই ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই হস্টেলে যায়নি অরিত্র। তাই তার প্রশ্ন,সেক্ষেত্রে কীভাবে এই ঘটনায় জড়িত থাকা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মতো অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে? তিনি ‘ষড়যন্ত্রকারী’, ‘পলাতক’ – এসব প্রচারের ক্ষেত্রের কার্যত সংবাদ মাধ্যমকেই দায়ী করেছেন অরিত্র।

অরিত্র তার ফেসবুকে এটাও লিখেছেন,ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর তার উচিত হয়নি কলকাতা ছেড়ে যাওয়া। কিন্তু এই মুহূর্তে অরিত্র কলকাতায় ফিরেছেন। তাই এখন যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি রাজি। কলকাতায় ফিরে এসেছেন এবং বর্তমানে বাঁশদ্রোণিতে নিজের ফ্ল‍্যাটেই তিনি আছেন।

কিন্তু অরিত্রর বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পড়ুয়াও ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের দাবি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রেজিস্ট্রার খাতায় ১১তারিখে অরিত্রর সই আছে। ১০ অগস্ট সে বাইরে গেলে ১১অগস্ট খাতায় তার সই কি করে? এই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কিন্তু সেই সই তার না অন্য কারুর এখনও তার প্রমান মেলেনি। অরিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় মানসিক ভাবে সে খুব ভেঙে পড়েছে। এখন কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই। আইনি পরামর্শ নিচ্ছে সে।