Date : 2024-04-28

তারাপীঠের অন্তর্কাহনে ছিন্নমস্তা গাঁথা

ওয়েব ডেস্ক “মা” এই উচ্চারণের মাঝে যেমন প্রশান্তির আলিঙ্গন লুকিয়ে ঠিক তেমনই এক অমূল্য আশ্রয়স্হলও বটে। মায়ের মাঝে মমতাময়ী রূপের ছটা যেমন বিদ্যমান ঠিক তেমনই কখনো সঠিকরূপে পথপ্রদর্শক আবার কখনও অন্যায়ের শাস্তিদাত্রী হয়েই “মা” নিজে ধরা দেন আমাদের মাঝে।

ভারতবর্ষ যেমন সর্ব ধর্মের মিলনক্ষেত্র ঠিক সেরকমই ভারত শ্রেষ্ঠ পূর্ণভূমি তথা তীর্থভূমির আধার। ভারত তথা বাংলার চারিদিক স্পর্শ করলে নানান ঐতিহ্যবাহী অলৌকিক তীর্থস্হানের খোঁজ মেলে। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা নানান ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। লাল মাটির এই দেশ রবি ঠাকুরের গন্ধে,বাউলের সুরে,সোনাঝুরির ছায়ায় বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চ সতীপীঠের পরিধিতে আবিষ্ট। বলা হয় বীরভূম মা কালীর চারণভূমি। কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালিতলায় সতী মায়ের কাঁকাল বা কোমর পড়েছিল,নলহাটি স্টেশনের কাছে একটি ছোট্ট টিলার উপর নলাটেশ্বরীতে আমিশাষী মায়ের কন্ঠনালী পড়েছিল,সাঁইথিয়ায় নন্দীকেশ্বরী মন্দিরে মা নন্দিনী ও নন্দীকেশ্বর ভৈরব অবস্হিত যেখানে মায়ের কন্ঠহাড় পড়েছিল,বক্রেশ্বরে সতী অর্থাৎ মহিষাসুরমর্দিনী রূপে পূজিতা দেবী সতীর দু ভ্রুর মধ্যস্হল অর্থাৎ মন পড়েছিল এবং বীরভূমের লাভপুরে ফুল্লরাপীঠে সতীর অধঃওষ্ঠ বা ঠোঁট পড়েছিল যেখানে ফুল্লরা রূপে মা এবং বিশেশ্বর রূপে ভৈরব অধিষ্ঠিত।

পূণ্যভূমি বীরভূমের রামপুরহাট শহরের অলিতেগলিতেও নানান আলৌকিক মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে। সাধক বশিষ্ঠ দ্বারকার কুলে মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূলের তলে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তবে, সে দিনের শিমূল গাছ আজ আর নেই। খরস্রোতা দ্বারকাও আজ পরিণত হয়েছে নোংরা খাল। জনারণ্যে হারিয়ে গেছে মহাশ্মশানের সেই ভয়াবহতা। ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠর সিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ আরও অনেকেরই সাধনপীঠ –তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাধক বামাক্ষ্যাপা।

এই তারাপীঠ মন্দিরের অনতিদূরেই বছর ৪০ আগে মাতৃসাধক মহাযোগী বঙ্কিমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য ও গুরুমাতা সাধিকা কণকলতা দেবীর হাতে মায়ের আদেশানুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আশ্রম ও ছিন্নমস্তা দেবীর মন্দির। বরাবরই মাতৃভক্ত ছিলেন সাধক বঙ্কিমচন্দ্র। মাতৃ রূপের সাক্ষাৎ তথা মাতৃ মন্দির স্হাপনার বাসনায় দীর্ঘ তিনদিন তিনরাত তারাপীঠ মহাশ্মশানের পঞ্চচিতার এক চিতায় শুয়ে কঠোর তপস্যায় ব্রতী হন তিনি। মায়ের কাছে নিজের আত্মসমর্পণ কালে তিনি অনড় থাকেন মাতৃআরাধনার পরিসম্পাতি রূপে মায়ের দর্শন বাধ্যতামূলক আর তা না হলে প্রাণ বিসর্জন করতেও তিনি পিছপা হবেন না। পরবর্তীতে এরূপ ভয়ঙ্কর স্হানে সফল সাধনার অন্তিমে ছোট্ট বালিকারূপে মা তাঁর মনবাঞ্ছা পূরণ করেন। তিনি আদেশ দেন এমন এক মন্দির গড়তে যেখানে দশমহাবিদ্যার তিন রূপ অর্থাৎ কালি,বগলা এবং মধ্যিখানে মা ছিন্নমস্তা বিরাজমান থাকবেন। কালীক্ষেত্র এই তারাপীঠের ছিন্নমস্তা মন্দির প্রতিস্হাপনেরও গায়ে কান পাতলে এক আলৌকিক কাহিনীর কথা জানা যায়।

প্রথম যখন সাধক বঙ্কিমচন্দ্র মায়ের আদেশে মন্দির প্রতিস্হাপন করবেন বলে মনস্হির করলেন তখন তিনি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না থাকলেও ইচ্ছেশক্তির শীর্ষে ছিলেন। আজকে যেখানে এই মন্দির অবস্হিত সেখানকার জমি প্রথম সাধক বঙ্কিমচন্দ্র দেখলেও আর্থিক সংগতি না থাকায় তিনি থমকে থাকেন। আবার সেই জমি আরেকজন ক্রেতাও কিনতে আসেন এবং যখন তিনি জমিকে কিনতে জান তখন সেখানে দেখেন প্রচুর ভয়ঙ্কর সব আকৃতি ও স্বাভাবের সাপ সেই জমি আগলে আছেন। পরবর্তীতে তিনি রাতে স্বপ্ন দেখেন ভয়ঙ্কর সাপের যিনি তাঁকে এই জমি দখলিকৃত করতে বারণ করছেন ও তিনি ভয়ে পেয়ে এই জমি ছেড়ে দেন। তারপর মায়েরই আশীর্বাদে এই জমির মালিক সাধক বঙ্কিমচন্দ্রকে এই জমি দেন।

বছর চল্লিশ আগে প্রথম সাধক এবং সাধিকার হাতে জমি কিনে একটি বাড়ি তৈরি করা হয় যার একটি ঘরে(৬ নং) মায়ের ঘট প্রতিস্হাপিত ছিলো। সেখানেই মায়ের নিত্যপূজা করতেন মায়ের এই প্রিয় সন্তান বঙ্কিমচন্দ্র। তখন থেকেই বহু মানুষের ভক্তিভরে সমাগম হতে থাকে সেখানে এবং মায়ের কৃপায় ভক্তগণ তাঁদের মনবাঞ্ছা পূরণ করতে থাকেন। এরপর ধীরেধীরে ভক্তকূলের সহায়তা ও মায়ের আশীর্বাদে মায়ের মন্দির বড় হতে থাকে। বর্তমানে শ্বেতপাথরে মোড়া মায়ের এই মন্দির সাবেকিআনায় পূর্ণ। মন্দিরের গর্ভগৃহে মধ্যিখানে অধিষ্ঠাতা মা ছিন্নমস্তা যাঁর বাঁদিকে দক্ষিণা কালি ও ডানদিকে মা বগলার বিগ্রহ বিদ্যমান। এছাড়াও গর্ভগৃহে দেবাদিদেব মহাদেব,জগন্নাথ,বলরাম,সুভদ্রা সহ নানান দেবদেবীর বিগ্রহও বর্তমান। গর্ভগৃহে ঢুকতেই মন্দিরের দোতলায় বাঁদিকে সাধক বঙ্কিমচন্দ্র ও গুরু মাতা স্বর্গীয়া কণকলতা দেবীর মন্দির এবং সামনেই আবৃত বিশালাকার চাঁতাল। মন্দিরে ঢুকতেই ডানহাতে পঞ্চমুন্ডির আসন এবং মন্দির ঘিরে মায়ের আশ্রম অবস্হিত। মন্দিরের সিংহদুয়ার থেকে এগিয়ে এলে যেখানে ধাক্কা খাওয়া যায় সেখানে মায়ের রন্ধনশালা অবস্হিত। এই রন্ধনশালায় মার ভোগ প্রস্তুত হয় এবং দিনে তিনবার বর্তমান গুরুমাতা সাধিকা সঞ্চিতা ভট্টাচার্য্যর অসামান্য মন্ত্রোচ্চারণ,ভোগ নিবেদন,আরতি এবং পুজার্চনার মাধ্যমে ধূপ,দ্বীপ,চন্দন,ফুলের সুবাসে মাতৃ আরাধনা সম্পন্ন হয়। মায়ের ভোগে ফল থেকে শুরু করে পঞ্চব্যঞ্জন,অন্নভোগ,তরকারি,আমিশাষী,ফলমূল সবই থাকে। এই মন্দিরে মাকে তিনবার ভোগার্পণ করা হয়।

ছিন্নমস্তা অর্থাৎ ছিন্ন মস্তক যে দেবীর। তিনি ছিন্নমস্তিকা, গুপ্তদুর্গা বা প্রচণ্ডচণ্ডিকা নামেও পরিচিতা। মহাবিদ্যা নামে পরিচিতা যে দশ দেবীর পূজা গুহ্য তান্ত্রিক সাধনার অঙ্গ, ছিন্নমস্তা হলেন তাঁদেরই অন্যতমা। তিনি হিন্দুধর্মে মহাশক্তি নামে পরিচিত মাতৃকারূপী ঈশ্বরের একটি ভয়ঙ্করী মূর্তিবিশেষ। ছিন্নমস্তা নগ্ন অবস্থায় মৈথুনরত দিব্য যুগলের উপর উপবিষ্ট অবস্থায় থাকেন। তাঁর ডানহাতে থাকে কর্তৃকা অর্থাৎ বাঁকা তরবারিবিশেষ। নিজেই সেই কর্তৃকা দ্বারা নিজের মস্তক ছিন্ন করেন এই দেবী এবং অপর হাতে সেই ছিন্ন মস্তক ধৃত থাকে। তাঁর কর্তিত কণ্ঠনালি থেকে সবেগে নির্গত রক্তধারার তিনটির একটি স্বয়ং তিনি পান করেন এবং বাকি দুটি ডাকিনী ও বর্ণিনী নাম দুই সহচরী পান করেন।

“শাক্ত মহাভাগবত পুরাণ”, “দেবী ভাগবত পুরাণ” ইত্যাদি অনুসারে, মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবী ছিন্নমস্তা। দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যা তিনি। কথিত আছে একবার মন্দাকিনী নদীতে স্নান করাকালীন কামার্ত হয়ে পড়েন দেবী পার্বতী। তাঁর গাত্রবর্ণ কালো হয়ে যায়। সঙ্গে ছিলেন দুই সখী জয়া এবং বিজয়া। তাঁরাও কালো হয়ে ডাকিনী এবং যোগিনীতে রূপান্তরিত হন, সেইসঙ্গে কামার্ত এবং ক্ষুধার্ত-ও হয়ে পড়েন। দুই সখী দেবীর নিকট খাদ্য প্রার্থনা করেন। তখন দেবী নিজের এবং দুই সখীর ক্ষুণ্ণিবৃত্তির উদ্দেশ্যে নখ দ্বারা নিজ মস্তক ছেদন করেন। তাতে যে রক্তধারা নির্গত হয়, তাই নিবৃত্ত করে শান্ত হন দেবী এবং তাঁর দুই সখী। অবশ্য একটি ভিন্ন মতও রয়েছে। এই কাহিনী স্বয়ং মহাদেবই বর্ণনা করেছেন বলে দাবী করা হয় “প্রাণতোষিণী তন্ত্রে”র অন্তর্গত “স্বতন্ত্রতন্ত্র” গ্রন্থে। বলা হয়, একদা রতিসঙ্গমকালে মহাদেবের বীর্যস্খলন হলে দেবী ক্রুদ্ধ হন। তখন তাঁর দেহ থেকে ডাকিনী এবং যোগিনী’র উৎপত্তি ঘটে। বাকি গল্প একইরকম।

এবার আমরা ছিন্নমস্তা কাহনে যাঁর কথা আলোচনা করবো তিনি তৎকালীন মন্দিরের গুরুমা সাধিকা সঞ্চিতা ভট্টাচার্য্য। সফল শিক্ষিকা থেকে গুরুমায় রূপান্তরিত হওয়ার নিগূঢ় কাহিনীই আজ তুলে ধরবো আমরা “সমাজবার্তা” র পাতায়। গুরুমা কিন্তু বাংলার বুকে হাওড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কত্থক ও ভারতনাট্যম নৃত্যেও একাধারে পারদর্শিতা দেখাতে থাকেন কালক্রমে। আবার স্কুলের শিক্ষিকারূপেও বেশ কয়েক সময় সফলভাবে তিনি দাপিয়ে বেড়ান শিক্ষাজগতের পরিধিতে। কিন্তু সঞ্চিতা দেবী ছোট থেকেই কিন্তু অনুভব করতেন কোন এক শক্তির উপস্হিতি যার আধার আধ্যাত্মিকতামন্ডিত। তিনি তাঁর বাড়িতে পূজিতা দেবী কালিকাকেই বন্ধুরূপে আলিঙ্গন করে নেন যাঁর সঙ্গে মনের সব কথা ভাগ করতেন তিনি। তাঁর এই আরাধ্যা মাই কিন্তু বান্ধবী “শঙ্করী” রূপে বিরাজিতা। তিনি কিন্তু এই সময় থেকেই এমন কিছু করতে পারেন যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই। প্রবল ইচ্ছেশক্তির উপর ভর করে এমন সব অলৌকিক ঘটনা তাঁর দ্বারা হতে থাকে। সঞ্চিতা দেবীর বিশ্বাস শঙ্করীর সঙ্গেই তাঁর খাওয়া দাওয়া থেকে ওঠা বসা সবটুকুর মধ্যেই এক প্রগাঢ় কারণ থাকলেও তিনি তা বোঝার পথে নেই। এরপর একদিন কালক্রমে সময়ের অবক্ষয়ে বয়ে একবার সঞ্চিতা দেবী তাঁর ছাত্রীর অভিভাবকের সঙ্গে তারাপীঠে বেড়াতে যান। এরই মাঝে বলে রাখা ভালো নানান সময়ে কালচক্রে সঞ্চিতা দেবী নানান সাধক,সাধিকার সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয়। তারপর তারাপীঠে সেই ছাত্রীর অভিভাবকের সঙ্গে এসে সঞ্চিতা দেবীর প্রথম সাক্ষাৎ হয় সাধক বঙ্কিমচন্দ্র ভট্টাচার্য্যের। তৎকালীন গুরুমা ছিন্নমস্তা মন্দির দর্শন করেন এবং একান্ত আলাপচারিতায় যোগীশ্রেষ্ঠ বঙ্কিমচন্দ্রের কাছ থেকে জানতে পারেন তাঁর ভিতরের অন্তর্নিহিত শক্তির কথা যা তিনি আগে থেকে আঁচ পেলেও মানতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে বঙ্কিমচন্দ্রের হাওড়ার বাড়ি স্বপ্নে দেখে তাঁর সঙ্গে আবার তিনি সাক্ষাৎ করেন নানান সময়ের গতিধারায়। অবশেষে সাধক বঙ্কিমচন্দ্রের হাত ধরে তারাপীঠ ছিন্নমস্তা মন্দিরের দায়িত্বভার পূর্ণরূপে গ্রহণ করেন সঞ্চিতা দেবী ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালে তিনি পঞ্চমুন্ডি আসনে বসেন। সাধক বঙ্কিমচন্দ্র দেহ রাখার পর থেকেই মন্দিরের সম্পূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন গুরুমা।

এরই মাঝে গুরুমা দুই উপলব্ধি গাঁথন শব্দের আকারে বইয়ের মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ছোটবেলার সেই “শঙ্করী” কে তিনি শব্দাকারে রূপ দেন কিছু আত্মকথন তথা মায়ের মাহাত্ম্যের দ্রবণে নিমজ্জিত করে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তিনি “শঙ্করী” ও ২০২২ সালের অক্টোবরে “সখী” নামে দুটি ভালোবাসার সন্তানের জন্ম দেন। অর্থাৎ তাঁর রচিত দুটি বই আমরা আমাদের কাছে পাই।

তন্ত্র সাধনাতে আসনের গুরুত্ব অপরিসীম। অবশ্য সমস্ত সাধনে আসনের বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব আছে যেমনটি আছে বৃক্ষের। পাঁচটি বিভিন্ন প্রাণীর (সাপ,বেজি বা নেউল,মানুষ,হনুমান,শিয়াল) করোটি দিয়ে প্রস্তুত করা হয় পঞ্চ মুন্ডির আসন। একবার তৈরী হলে যুগ যুগ ধরে সেই আসন খন্ডন হয় না। যদিও সিদ্ধি পর্বে বিসর্জন দেওয়ারও রীতি রয়েছে। তবে তা নির্ভর করে কতোজন সাধক উপবেসন করবেন তার সংখ্যার উপর এবং তা কয়েক শতাব্দী ব্যাপী হতে পারে।

এই পঞ্চ মুন্ডির অস্তিত্ব একমাত্র ঈশ্বর ও দেবী জানে। কারণ তাঁরা দৈব্য দৃষ্টিতে সবকিছু দেখতে পান। সাধককে, দেবী বা গুরু বলে দেন কোথায় বসে সাধনা করতে হবে। আর এই পঞ্চমুন্ডির আসনে উপবিষ্ট হয়ে গুরুমা নানান যজ্ঞের মাধ্যমে সাধনা করে থাকেন।

এই ছিন্নমস্তা মন্দির ঘিরে নানা মনস্কামনা পূরণ তথা আলৌকিক ঘটনাপ্রবাহ কিন্তু বিদ্যমান যার স্পর্শপূরণে আপনাকে অবশ্যই আসতে হবে এই মন্দিরে। আপনার অপার ভক্তি,গুরুমার শ্রেষ্ঠ অর্চনা এবং আচারাদির অ-মূল্য কাহনে গাঁথা এই জাগ্রত মন্দির দর্শন করলে আপনি পাবেন অপার শান্তি এবং ফল। তাই আর দেরী না করেন একবার দর্শন করে আসুন “তারাপীঠে ছিন্নমস্তা”।

এই মন্দিরের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ” তারাপীঠে ছিন্নমস্তায়” ও আপনি মন্দিরের নাান দিক সহ তন্ত্রসাধনার এক এক প্রতিচ্ছবি ও তাঁর ব্যাখ্যা পাবেন। আর এই মন্দিরের পুজার্চনা সম্পর্কে আরও জানতে আরও যোগাযোগ করুন 9674667153 এই নম্বরে।