Date : 2024-04-29

বুধবার ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন ইসরোর প্রতিনিধি দল

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক :

বুধবার ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন ইসরোর প্রতিনিধি দল। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সহ মেইন হস্টেল পরিদর্শন করেন তাঁরা। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্র মৃত্যুর পিছনে র‍্যাগিং এর ত্বত্ত্ব জোরালো হয়েছে। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে উন্নত পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে ইসরোর। মঙ্গলবার ইসরোর দুই বিজ্ঞানী যাদবপুরে আসেন। ঘুরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জায়গা। বুধবারও উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন গেটে বসতে পারে উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা, সেই সমস্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখে তারা। মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফডিআই কে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তার কাজ এগোতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এটি কার্যকর করতে দীর্ঘ দিন সময় লাগতে পারে মত বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকেরা একাংশের।

কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করায় সুবিধা হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পর ইসরোর তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে। বুধবার মেইন হস্টেলে যান ইসরোর প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন হস্টেল। এ২ ব্লকও যান তারা। মূলত যেটা জানা গেছে, ইসরোর প্রতিনিধিরা হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি লাগানো সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখেন। বাইরের কাউকে শনাক্ত করার জন্য ফেসিয়াল রেকগনিশনের ব্যবহার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের ডেটাবেস তৈরির জন্য ক্লাউড তৈরি বিষয়টি কতটা জরুরি। এবং ক্যাম্পাসের গেটে এআই ব্যবহারের পরিকাঠামো তৈরি হবে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়।