ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছিলেন বেঈমানদের দলে কোন জায়গা নেই। অথচ ৯০দিন কাটতে না কাটতেই কতৃণমূল দলীয় সূত্রের খবর শতাধিক নেতা-নেত্রী দলে ফিরে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা সভাপতির কাছে জমা পড়েছে সেই চিঠি।
দলের সঙ্গে বেইমানি করা বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা মুচলেকা দিয়েছেছেন আর তারা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বেইমানি করবেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। কারণ দলের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষায় বার্তা দিয়েছিলেন বেঈমান দের কোন ভাবেই দলে ফেরানো হবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই একই কথা শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তারপরও তৃণমূল করা বহু নেতা নেত্রীকে নির্দলের টিকিটে লড়তে দেখা গিয়েছে, জয়ীও হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই।
জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন শেষ।সূত্রের খবর, প্রায় ৭০০-র বেশি নেতা-নেত্রী ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা নিজেরাই চিঠি দিয়ে দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মিছিল করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুথে বুথে মিছিল করার কথা রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের। শতাধিক নেতা-নেত্রী দলে ফিরে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকে। পাশাপাশি জেলার জেলা সভাপতির কাছে জমা পড়েছে সেই চিঠি। সেখান থেকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে দলের রাজ্য দফতরে পৌঁছেছে।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছেন, যাঁরা ভাল কর্মী, পুরনো লোক, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেছিলেন, “যদি কেউ পুরনো থাকেন, বঞ্চিত থাকেন, তাঁদের অন্যভাবে আমি কাজে লাগাব। আমি চাই না কেউ বাইরে থাকুক। যদি কোনও লোক আপনাদের সঙ্গে যোগ দিতে চায়, ফেলে রাখবেন না নিয়ে নেবেন। ভাল মানুষদের নেবেন। ” যদিও মমতার এই বক্তব্যে নির্দল কথাটা কোথাও ছিল না। বৃহত্তর অর্থে বার্তা দিলেও, অনেকে মনে করছেন নির্দলদের ফেরানোর ইঙ্গিত ছিল তাঁর বক্তব্যে।
সময়ের অনেক কিছুই তো বদলে যায়। বিশেষ করে বাংলার রাজনীতিতে বদলে যায় প্রতীক, বদলে যায় রঙ। পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। আর হয়তো কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে দামামা বেজে যাবে। তাই কি দ্রুত সমস্ত অতীত ভুলে ঘর ওয়াপসির সিদ্ধান্ত নিলো শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।