নাজিয়া রহমান সাংবাদিক : শনিবার স্কুলে যেন শনির দশা। ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতির হার এতটাই কম থাকছে, যে কোনও কোনও স্কুল একাধিক ক্লাসের পড়ুয়াদের একটি কক্ষেই বসতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। শনিবার স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হোক শিক্ষা দফতর। দাবি একাধিক শিক্ষক সংগঠনের।
সোম থেকে শুক্র পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার মোটের উপর স্বাভাবিক থাকলেও শনিবারে যেন লেগেছে শনির দশা। এদিন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় ৩০ শতাংশেরও কম থাকছে এমনটাই মত শিক্ষকমহলের। আর এই প্রবণতায় উদ্বিগ্ন শিক্ষক শিক্ষিকারা। জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে নয়া শিক্ষাবর্ষ। তার আগে শিক্ষাদপ্তর শনিবারে স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহন করুক এমনই বক্তব্য শিক্ষক সংগঠনগুলির। এদিন স্কুলে পড়ুয়াদের আসার আগ্রহ বাড়াতে পাঠনপাঠনের পাশাপাশি কো কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি চালু করা হোক। এমনই দাবি অধিকাংশ শিক্ষক সংগঠনের দাবি।
আবার কোনও কোনও শিক্ষক সংগঠন মনে করছেন অন্যান্য সরকারি কাজের জায়গার মত শনিবার স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হোক। তার বদলে গ্রীষ্মাবকাশ বা পুজো-পার্বণের ছুটি কিছুটা ছেঁটে ফেলা হোক।
করোনার পর থেকেই মূলত শনিবার স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ক্রমশ কমার ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। এর মূলে গৃহশিক্ষক বলে মনে করছেন শিক্ষকমহলের একাংশ। তাদের অনুমান করোনার সময় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাস হলেও পড়ুয়ারা অনেকটাই গৃহশিক্ষকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এখনও হয়তো অনেক শিক্ষার্থী শনিবার স্কুলে না এসে গৃহশিক্ষকের কাছে পাঠ গ্রহন করছে। তার প্রভাব পড়ছে স্কুলে শনিবার ছাত্রছাত্রী উপস্থিতির হারে।
এর সমাধান স্বরূপ, শবিবার উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুলে টানতে জয়েন্ট বা এই ধরনের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্লাস করানো যেতে পারে বলে মনে করছেন কোনও কোনও শিক্ষক।