নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : কয়েকমাস আগে উত্তরের ঘিঞ্জি অথচ আদ্যোপান্ত রঙিন গলিটার ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। প্রতিমার সংখ্যায় তিল ধরনের জায়গা ছিল না প্রতিমালয়গুলিতে। উৎসব শেষে এখন সেই কুমোরটুলি কেমন আছে? কি করছেন এখন কুমোরটুলির শিল্পীরা? কিভাবে সময় কাটছে তাদের?
জৈষ্ঠ্য মাস থেকে কার্তিক মাস গোটা একটা পাড়ার সময় পেরিয়ে যায় উর্ধশ্বাসে। নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রতীমা তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন উত্তরের ঘিঞ্জি, ভ্যাপসা, স্যাঁতসেতে এবং আদ্যপান্ত রঙিন গলিটার মৃৎশিল্পীরা। ডিসেম্বর মাসে বড় কোনও পুজো নেই। তাই এখন প্রায় শীতঘুমে কুমোরটুলি। তালা বন্ধ সারি সারি প্রতীমালয়গুলি। হাতে গোনা কয়েকটি ঘর খোলা।
বছরের ছয়টি মাস জমজমাট থাকে কুমোরটুলি। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় হাজার পাঁচেক শিল্পী, কর্মী আসেন কুমোরটুলিতে। ঘুপচি ঘরে দিন কাটান, সময় করে ছোট্ট হাড়িতে ভাত চড়ান, আর বাকি সময় মন দিয়ে, তিলে তিলে গড়ে তোলেন এক একটি অসামান্য প্রতিমা। এবছরের মত উৎসব শেষ। তাই পরিযায়ী শিল্পী ও কর্মীরা ফিরে গেছেন নিজেদের বাড়ী। শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, দুই চব্বিশ পরগনা, বর্ধমান সহ একাধিক জেলা থেকে তারা আসেন। আবার জানুয়ারি মাস থেকে আসতে আসতে তাদের আগমন ঘটবে কুমোরটুলিতে। আবার জেগে উঠবে কুমোরটুলি।
পুজো শেষে বছরের কয়েকটা মাস নিস্তব্ধ থাকে কুমোরটুলি। কুমোরটুলির গলি থেকে শাখাগলি জুড়ে নিস্তব্ধতা। যারা কুমোরটুলিতে এখন আছেন তারা বেশির ভাগই ছুটির মেজাজে। কেউ রাজ্য ও দেশের হালহকিকত জানতে চোখ বোলাচ্ছেন খবরের কাগজে। আবার কেউ শান্ত মনে টুকটাক মূর্তী তৈরির কাজ করছেন। যা দেখে অবশ্যই মনে হবে এ এক অন্য কুমোরটুলি।