শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক :- বস্তি উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতিতে হবে, স্মার্ট মিটার চালু করা চলবে না, বিনামূল্যে মাসিক ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দিতে হবে এই দাবিতে মঙ্গলবার রানি রাসমণি রোডে বস্তিবাসীদের সমাবেশ হয়। পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে এই সমাবেশ ডাকা হয়। এই সমাবেশে একে একে বক্তব্য রাখেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা হান্নান মোল্লা, সিপিএম নেতা ডা: ফুয়াদ হালিম , সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্টজনেরা। এই সমাবেশ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা ডা: ফুয়াদ হালিম বলেন, গরীব মানুষ যারা বস্তিতে থাকে তারা শহরের অক্সিজেন। তারা সকালে উঠে কলকাতা পরিষ্কার করে। তাই তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। প্যালেস্টাইন বোমাবাজি প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে বলেন বোম বা বুলডোজার চালিয়েে বস্তি উচ্ছেদ করা হচ্ছে অনেক জায়গায় কিন্তু স্মার্ট মিটার নামক নতুন হাতিয়ার দিয়ে বস্তি উচ্ছেদ করছে এই সরকার। নিজের অধিকারের জন্যে সবাইকে মিলে লড়তে হবে বলে হুঁকার দেন ফুয়াদ হালিম।
সিপিএমের বর্ষীয়ান ও কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, এটা জমির লড়াই। জমিতে শিকড় থাকলেই অস্তিত্ব থাকবে। কৃষক আন্দোলনের ক্ষেত্রে যেমন মোদী সরকারকে পিছু সরতে বাধ্য করেছিলেন তেমনি বস্তি উচ্ছেদের ক্ষেত্রেও সরকারকে পিছু হটাতে হবে বলে। বস্তিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন সকলকে এক হতে হবে। ভারতবর্ষে ৭ কোটির মত বস্তি আছে। সরকারের দায়িত্ব এই বস্তিবাসীদের দেখাভাল করা।
এই সমাবেশের শেষ বক্তা ছিলেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি জোর গলায় বলেন , যারা নিজেদের শ্রম দিয়ে উচুঁ উচুঁ ইমারত তৈরি করেন। একটা শহর, নগর তৈরি করেন তারাই আজ সুযোগ সুবিধা থেকে ব্রাত্য হচ্ছে। যারা অন্যের মাথার ছাদ তৈরি করছে তাদের মাথার ছাদের দায়িত্ব কে নেবে ? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন এই সরকারের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, বলছে লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ করাবেন। কিন্তু লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ করলে কি বাসস্থান হবে। মিডিয়াকেও এক হাত নেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, টেলিভিশনে ইনসাফ যাত্রা দেখাবে না। দেখাবে কত টাকা চুরি হয়েছে , ভাইপো কবে মন্ত্রী হবে। বস্তিবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেন,ভেঙে পড়লে হবে না,সকলকে এক হয়ে লড়তে হবে। তবেই পাওয়া যাবে অধিকার।