ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : পুলিশী তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল। প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে সিআইডি, নির্দেশ হাই কোর্টের।পরিবারের অভিযোগ তার মেয়েকে পরিকল্পনা করে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
মামলার শুনানি পর্বে রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছিলেন নাবালিকা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তাই কোন নিরপেক্ষ অথবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন নেই। আইনজীবীর দাবি ছাত্রী মানসিক অবসাদের জন্যই সে আত্মহত্যা করেছিল। পাশাপাশি তিনি আর দাবি করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর অভিভাবক কে স্কুলে ডেকে পাঠানোর পরেই সে আত্মহত্যা করে।
সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল প্রশ্ন করে ছিলেন কি কারনে অভিভাবককে স্কুলে ডাকা হয়েছিল? তার তথ্য কোথায়?বিচারপতি সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আবারো প্রশ্ন করেন প্রথম চার সিট জমা করার সময় যে সমস্ত ব্যক্তিদের সাক্ষী নেওয়ার দরকার ছিল তাদের কেন সাক্ষী নিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা?
সেই প্রশ্নের উত্তর এদিন আদালতে দিতে পারিনি সরকারপক্ষের আইনজীবী।
মামলাকারী নাজিমুল হকের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান সরকারপক্ষের আইনজীবী তদন্তের কথা আদালতে জানাচ্ছেন তবে সেই তদন্তে সাক্ষীদের নাম প্রথম চার্জশিটে নেই কেন? নাবালিকা ছাত্রীর বাবা নির্দিষ্ট করে খুনের অভিযোগ করলেও সেই অভিযোগ এফআইআর হিসেবে রুজু করেনি পুলিশ বলে অভিযোগ।পাশাপাশি ওই ছাত্রী পাঁচ তলা থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে প্রথম যে চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেছিলেন তার কোন কেন সাক্ষী নেওয়া হয়নি? এবং শুধু তাই নয় ঘটনার প্রায় এক দশক হতে চললেও আজ পর্যন্ত মৃত ছাত্রীর বাবার কোনো রকম জবানবন্দি নেয়নি পুলিশ। তাহলে সেই পুলিশের উপরে কিভাবে আস্তা রাখবে পরিবার। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তার বাবাকে জানায়নি এবং এই ঘটনার পরে অনেকক্ষণ ছাত্রী জীবিত অবস্থায় ছিল তা সত্ত্বেও তার মৃত্যু কালীন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আইনজীবীর।