নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : বছরের শুরুতেই সুখবর। নতুন বছরের সূচনা লগ্নে মহাকাশ গবেষণায় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত। বছরের প্রথমদিন ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট সফলভাবে পাড়ি দিল মহাকাশে। এই স্যাটেলাইটের প্রধানকাজ মহাশূন্যের অসীম রহস্যে ভরা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের সন্ধান করা। এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কৃত্রিম এই উপগ্রহটি পাড়ি দেয় মহাকাশে। এর আগে বিশ্বের মধ্যে একমাত্র আমেরিকার দখলে ছিল এই সাফল্য। এবার পোলারিমিটার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে বিশ্বে ভারত দ্বিতীয় স্থান দখন করে নিল। স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণে খুশির হাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে।
পৃথিবী থেকে খুব দূরে অবস্থান করবে না এই কৃত্রিম উপগ্রহটি। খুব জোর ৭০০ কিলোমিটার দূরে থাকবে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি। ইসরো সূত্রের খবর, পৃথিবীর কাছাকাছি থেকে কৃষ্ণগহ্বর এবং উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের খোঁজ করবে ইসরোর এই স্যাটেলাইট। পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠাবে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে। আর তা বিশ্লেষণ করেই জানা যাবে আমাদের সৌরজগতের কৃষ্ণগহ্বর ও অন্যান্য শক্তির উৎস সম্পর্কে।
মহাকাশে মূলত দুটি পার্টে কাজ করবে এই এক্সপোস্যাটটি । একটি পোলিক্স বা অপরটি এক্সস্পেক্ট । এক্সপোস্যাট মোট ৫ বছর কাজ করতে পারবে মহাশূন্যে। সেভাবেই তাকে তৈরি করা হয়েছে। মূলত এক্স রে পোলারিমিটারের সাহায্যে পৃথিবীর আশেপাশে থাকা অন্যান্য আলোর উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর পোলিক্স অংশে উচ্চমাত্রার এক্স রশ্মি নির্গত হবে। বিজ্ঞানীদের মতে এই এক্সপোস্যাট মিশন বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ টি সফল উৎক্ষেপণ বছরের প্রথম দিনটিকে আরো আনন্দময় করে তুলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।