সুপার কাপ জয়ের সামনে দাড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল। জামশেদপুর এফসিকে হারানোর পর কাপ আর ঠোটের মধ্যে মাত্র এক ধাপের দুরত্ব। দায়িত্ব নিয়েই দুটি নকআউট প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে তুলেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার কোচিংয়ে লালহলুদ শিবিরও চলছে তেল খাওয়া মেশিনের মতো। বহু বছর পর এক মরসুমে তিনবারের মধ্যে দুবারই চিরশত্রু মোহনবাগানকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষবার আলেয়ান্দ্রোর সময় ইস্টবেঙ্গলের পারফরমেন্স কিছুটা ভালো ছিল। তবে এত অসাধারণ ফুটবল সেবার খেলেনি ইস্টবেঙ্গল। দলে সেবার বোর্জা, এনরিকে এসকুয়েদার মতো ফুটবলার ছিল। সেই তুলনায় এই ইস্টবেঙ্গল দল সাধারণ মানের। কিন্তু কোচের দুরন্ত ম্যাচ রিডিং এবং ফুটবলারদের থেকে সেরাটা বার করে আনার ক্ষমতাই নন্দকুমার, নিশু কুমারদের জাগিয়ে তুলেছে। কাপ ছাড়া আর কিছুই দেখছে না ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান যেখানে ভারতীয় ফুটবলারদের অভাবেই সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল, সেখানে লালহলুদে ভারতীয়রাই পার্থক্য গড়ে দিল। দামি বিদেশী না নিয়েও, ভোকাল টনিকে তাদের থেকে যে ভালো পারফরমেন্স আনা যায় সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন কুয়াদ্রাত। সেই কারণে ক্লেইটন যেদিন গোল পাননা সেদিন গোল পান টোরো, তিনি না পেলে গোল করেন নন্দাকুমার বা হিজাজি মাহের। একই দলে এতগুলো গোল করার লোকই এবারের সুপার কাপে অন্যান্য দলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে ইস্টবেঙ্গলকে। শেষ ম্যাচে এই ধারা বজায় রাখতে পারলে, ট্রফি কলকাতাতেই আসবে তা বলাই যায়। ফাইনালের আগে তাই ডুরান্ডের স্মৃতি ফুটবলারদের মনে করিয়ে দিয়ে কোচ বলছেন, এই ম্যাচটা জিততে হবে। তারপর বাকিটা শহরে ফিরলে সমর্থকরাই উপহার দেবে। ইস্টবেঙ্গলের আওয়ে ম্যাচেও কলকাতা থেকে কলিঙ্গে ভির জমাচ্ছেন সমর্থকরা। সৌজন্যে স্বপ্নের ফেরিওয়ালার স্প্যানিশ কার্লেস কুয়াদ্রাত।