ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : সৌদি আরবে বসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি। এরপর হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। কিন্তু মইনুদ্দিনের ওই আসনে এখনো ভোট হয়নি। যার জেরে ভোট মিটে যাওয়ার ছ মাস পরও কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা যায়নি। পঞ্চায়েতে দৈনন্দিন কাজকর্ম সামলাচ্ছেন বিডিও। বিষয়টি শুনেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ আদালত ওই আসনে অবিলম্বে ভোট ঘোষণা করতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ছিল এই মামলার শুনানি। বিষয়টি শোনার পরেই কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ‘এতদিন পরও কেন ওই আসনে ভোট ঘোষণা করা হয়নি? কেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন? বিডিও কেন পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাবেন? বিডিওর কাজ কি পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলানো? তার নিজস্ব অনেক কাজ রয়েছে। অবিলম্বে ওই হাসনে ভোট ঘোষণার ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে মক্কায় বসে মনোনয়ন জমা দেয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। যার ভিত্তিতে প্রথমে সিবিআই তদন্তে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এরপর ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বদল করে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন পরবর্তীতে ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এই ঘটনার জেরে কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনটিতে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত থেকে যায়। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট পর্ব মিটে যাওয়া দীর্ঘদিন পরেও ওই আসনটিতে ভোটগ্রহণ কে কেন্দ্র করে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশন কোন সদিচ্ছা না দেখানোয় রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করেছে আদালত।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। ওর