ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুদূর সৌদি আরব থেকে বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটে জিতে প্রধান পদে বসার অভিযোগ উঠল এক বাংলাদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ঘটনায় দু সপ্তাহের মধ্যে মহকুমা শাসককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহের চাঁচলে একটি একটি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লাভলি খাতুন নামে এক মহিলা। অভিযোগ তিনি ভারতীয় নন। আদতে তিনি বাংলাদেশী নাগরিক। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বার করে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জেতার পর আপাতত তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
গ্রামবাসী পাঁচ মামলাকারীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো সত্বেও কোন সূরাহা হয়নি। তাদের আরো অভিযোগ লাভলী খাতুনের জন্ম বাংলাদেশ। তারপর এদেশে আসার পর এক ভারতীয় সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার বাবা হিসেবে কাগজে-কলমে যার নাম রয়েছে তিনি তার জন্মদাতা পিতা নন। দত্তক পিতা হিসেবে তার নাম রয়েছে। কিন্তু মুসলিম আইনে দত্তক গ্রহণযোগ্য নয়। এবং এক্ষেত্রেই নথি বিকৃত করে লাভলী খাতুন জাল শংসাপত্র বার করেছেন বলে অভিযোগ।
যদিও লাভলি খাতুনের আইনজীবীর পাল্টা দাবি তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং তার কাছে যাবতীয় প্রমাণপত্র রয়েছে।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের হিয়ারিং করে অভিযোগ শুনতে হবে মালদহের চাঁচলের মহকুমা শাসককে। পাশাপাশি লাভলী খাতুন কে তার প্রমাণ পত্রের সমস্ত নথি হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে আদালতে। আগামী কুড়ি ফেব্রুয়ারি মহকুমা শাসক কে হলফনামা আকারে এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। ওইদিন ফের মামলার শুনানি।