সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- মহড়া হতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। দিনটা ১৭ই ফেব্রুয়ারী। একসঙ্গে একাধিক সুপারসনিক গতিময় শব্দ শোনা যাবে ওইদিন অর্থাৎ ১৭ই ফেব্রুয়ারী হতে চলেছে দেশের যুদ্ধবিমানগুলির মহড়া ‘বায়ু শক্তি-২০২৪’। ভারত সীমান্তের আকাশ- বাতাস কেঁপে উঠবে যুদ্ধের জয়-ডঙ্কায়। তবে যুদ্ধ নয়, চলবে যুদ্ধের মহড়া। এই মহড়ার নেতৃত্বে থাকবে দেশের ২ শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান। একটি হল ফ্রেঞ্চ টুইন ইঞ্জিন রাফাল আর একটি হল দেশীয় প্রযুক্তির লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার প্রচন্ড। জয়সলমীরের কাছে পোখরানের আকাশে হবে দেশের বায়ুশক্তির এই মহড়া। রাফাল ও প্রচন্ড ছাড়াও এই তালিকায় এই বছর প্রথম সি-১৭ যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার থাকবে। যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার থেকে মিসাইল নিক্ষেপ দেখতে পাবে দেশ। থাকবে আর এক গর্ব তেজস, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব। থাকবে মিরাজ ২০০০, মিগ- সু ৩০, জাগুয়ার, হক, সি- ১৩০, চিনুক, এমআই- ১৭-এর মতো শক্তিশালী যুদ্ধবাজ উড়োজাহাজ। থাকবে অভ্র- এএন ৩২। সব মিলিয়ে তালিকায় থাকছে ১২০টি এয়ারক্রাফট। যাদের মধ্যে ৭৭টি যুদ্ধবিমান ও ৪১টি হেলিকপ্টার। সঙ্গে থাকছে ৫টি যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহী এয়ারক্রাফট।
এই এয়ারক্রাফট আকাশে ভেসে বায়ু থেকে বায়ু কিংবা বায়ু থেকে ভূমিতে মিসাইল নিক্ষেপ সম্ভব। আর সেটাই তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীতে। কারণ এই বছর প্রকৃত যুদ্ধের প্রদর্শনীর চেহারা নেবে এই মহড়া। বায়ুশক্তির শেষ প্রদর্শনী হয়েছিল ২০১৯-এ। দীর্ঘ কয়েক বছর এই প্রদর্শনী যে আবার অনুষ্ঠিত হবে তা জানান ভাইস চিফ অফ এয়ারস্টাফ এয়ার মার্শাল এ পি সিং। এদিনের মহড়া, সাধারণ কোনও মহড়া নয়, পুরো ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে শেষের বায়ুশক্তির বল প্রকাশ পাবে বলে জানান এ পি সিং। দেখানো হবে দু’টি এয়ারক্রাফটের পারস্পরিক বোঝাপড়া। প্রতিটি এয়ারক্রাফটে থাকবে ৪০ থেকে ৫০ টন ওজনের মিসাইল। যারা কম করে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে যুদ্ধ করতে সক্ষম। স্থলবাহিনীর মতো যুদ্ধ একেবারেই নয় না বায়ুবাহিনীতে। সুতরাং, আকাশের যুদ্ধে সবটাই চলে ক্যাপ্টেন আর সহযোগী পাইলটদের বোঝাপড়া ও সঙ্কেতে। বোঝাপড়া যতটা দৃঢ়, সঙ্কেত ততটাই সুমসৃণ। এই বোঝাপড়ারই প্রদর্শনী হবে দেশের উত্তর- পশ্চিম সীমান্তের মাঝ আকাশে। যুদ্ধের আবহ তৈরি হবে এদিন।