ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : কলেজ থেকে শিক্ষামূলক ভ্রমণে ওড়িশা গিয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। ঘটনায় ওড়িশার কেওনঝড়ের পুলিস সুপারের কাছে তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় আদৌ কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে কিনা তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত বছর ২১ নভেম্বরের ঘটনা। আশুতোষ কলেজের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ৩৮ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে ওড়িশার কেওনঝড় ও বারবিলে শিক্ষামূলক ভ্রমণে রওনা হন অধ্যাশপকরা। এরপর ২৩ নভেম্বর বারবিল থেকে কিছুটা দূরে একটি নদী এবং জলপ্রপাত দেখার জন্য নামেন পড়ুয়ারা। সেই জলপ্রপাত দেখার সময় দুপুর ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ঝরনার জলে পা পিছলে পড়ে যান দুই পড়ুয়া। নিখোঁজ হন হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা ওই ছাত্র তারাশংকর সরকার। তাঁর সঙ্গে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান নীলাব্জ নামে আরও এক ছাত্র। একটি পাথরে আটকে কোনওমতে বেঁচে যান তিনি। এই ঘটনার দু’দিন পর উদ্ধার হয় তারাশঙ্করের মৃত দেহ। আরামবাগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জি পাড়ায় বাড়ি তারাশঙ্করের। পড়াশোনার জন্য তিনি সল্টলেকে থাকতেন।
তারাশঙ্কর ছিলেন ইউটিউবার। তাই ঘটনার পর সন্দেহ করা হচ্ছিল ঝরনাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ছবি তুলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে গিয়েছিল। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে ওই পড়ুয়াকে।
সম্প্রতি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার শুনানিতে পরিবারের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গেল অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। রাজ্যের তরফে অবশ্য জানানো হয় ওড়িশার বোলানি থাসনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও ওই থানা থেকে কোনও তথ্য মেলেনি। সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর হুগলির পুলিস সুপারকে অবিলম্বে ওড়িশার কেওনঝড়ের পুলিস সুপারের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পাশাপাশি ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে কিনা তা কেওনঝড়ের পুলিস সুপারকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৪ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।