সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : নবনির্মিত সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন অধিবেশন কক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছিলো। তারপরই রাজ্য বিধানসভায় নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন সেই নিরাপত্তার কড়াকড়ির সাক্ষী থাকলো রাজ্য বিধানসভা চত্বর।
২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর। দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন চলাকালীন স্মোক বোম নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন দুই যুবক। ভিজিটর গ্যালারি থেকে লাফিয়ে সরাসরি নেমে পড়েছিলেন সাংসদ আসনের মধ্যে। সেই ঘটনায় সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রায় সকলেই। সেদিনের সেই ঘটনার পরের দিনই রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যারা বিধানসভার সদস্য (মন্ত্রী, বিধায়ক) তাঁদের নিজেদের পরিচয় পত্র দেখিয়েই বিধানসভায় প্রবেশ করতে হবে। সেই মোতাবেক ষোলো দফা নির্দেশিকা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য, শাসক দলের মুখ্য সচেতক, উপমুখ্য সচেতক এবং রাজ্য সরকারের সচিবরা প্রবেশ করবেন ৬ নম্বর গেট দিয়ে।
নিজস্ব পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিধানসভার এক নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন বিধানসভার স্টাফ বা কর্মীরা, বিধানসভার সচিবালয়ের কর্মীরা। এছাড়া ভিজিটরস বা অতিথিরাও সঠিক অনুমতিপত্র দেখিয়ে এই এক নম্বর গেট দিয়েই বিধানসভায় প্রবেশ করবেন। দুই নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন বিরোধী দলনেতা, বিরোধীদলের মুখ্য সচেতক, বিরোধী দলের বিধায়করা এবং সাংবাদিকরা। সদস্যদের সঙ্গে আসা ভিজিটরদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক নম্বর গেট।
অধ্যক্ষের কথা মতো নিরাপত্তার কড়াকড়ি রয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। বিধানসভায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রথমেই রয়েছে একটি বুম ব্যারিয়ার। তারপরেও আলাদা করে ফ্রিস্কিং (দেহ তল্লাশি) করা হচ্ছে ভিজিটর গেটে।ভিজিটরদের জন্য নিয়ম আরও কড়াকড়ি। ভিজিটরদের প্রত্যেকের প্রবেশের সময় টাইম মেনশন করে দেওয়া হচ্ছে। দুই ঘন্টার জন্য প্রবেশের অনুমতি তাদের দেওয়া হচ্ছে। দুই ঘন্টার বেশি বিধানসভা চত্বরে থাকলে প্রয়োজনে পুলিশি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হতে পারে। মূল অধিবেশন কক্ষে মোবাইল ফোন, ট্রানজিস্টর বা কোনরকম ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।