সুঞ্জু সুর, সাংবাদিক : গরমকালে তো নয়ই, শীতকালেও গরম ভাত দেওয়া হয় না। ঠান্ডা ভাত খেতে হয়। সরকারি নিয়ম ও নির্দেশ থাকলেও তা মানা হয় না। নিজের জেলবন্দী জীবনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বিধানসভায় জেলবন্দীদের জন্য গরম ভাতের আবেদন জানালেন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, জেলে খাবারের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। তিনি বলেন, সরকারি আদেশে বন্দীদের জন্য ৭৫ গ্রাম করে মাছ দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই মাছ এতটাই পাতলা যে যিনি মাছ কাটেন তার হাত কেটে যাওয়ার জোগাড়। নওশাদের আরও অভিযোগ, শীতকালে বিকাল চারটেয় রাতের খাবার দিয়ে দেওয়া হয়। ভাত দেওয়া হয় একদম ঠান্ডা। কোনো সরকারি নির্দেশ মানা হয় না।
নওশাদের অভিযোগের উত্তরে কারামন্ত্রী অখিল গিরি অধিবেশন কক্ষে জানান, সরকারি নির্দেশেই রয়েছে জেলবন্দীদের কি খাবার, কতটা দিতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম চালের ভাত, ১০০ গ্রাম ডাল, ৩০০ গ্রাম সবজি তার সঙ্গে ১০০ গ্রাম আলু থাকতে হবে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন করে ৭৫ গ্রাম মাছ, ৭৫ গ্রাম মাংস, ২৫ গ্রাম সয়াবিন, ডিম দেওয়া হয়। নওশাদের অভিযোগ নস্যাৎ করে কারামন্ত্রী জানান, বিকাল চারটার সময় চা ও দুটো করে বিস্কুট দেওয়া হয়। তাছাড়া টিফিনে মুড়ি, বাদাম ও ডাল ভাজা দেওয়া হয়। যারা নিরামিষভোজী তাদের জন্য ২৫০ এমএল দুধ ও দেওয়া হয় বলে দাবি কারামন্ত্রীর। যদিও নওশাদ সিদ্দিকীর অভিযোগ খাতায় কলমে সরকারি নির্দেশিকা অনেক কিছু থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয় না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই একথা বিধানসভায় তিনি বলেছেন বলে জানালেন।