ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : অনুমোদনহীন বিএড কলেজ গুলি নিয়ে করা অবস্থান নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার নথিপত্র থাকা অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার নির্দেশে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যেসব অনুমোদনহীন কলেজের সমস্ত নথি রয়েছে তাদেরকে আগামী 10 দিনের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিতে হবে।
এর আগে একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলিকে চিহ্নিত করে বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। নিজের মেয়েকে বিএড কলেজে ভর্তি করতে গিয়ে অনিয়মের খোঁজ পেয়েছিলেন মামলাকারী। কলেজটি যেখানে থাকার কথা সেই ঠিকানায় ছিল না। পরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে একই রকম আরো ছয়টি কলেজের সন্ধান পান মামলাকারী। অভিযোগ, কলেজগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না নিয়েই ভর্তি নিচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী এন সি টি ই গাইডলাইন অনুসরণে এইসব কলেজ স্থাপন করা যায়। নিজস্ব বাড়ি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকা সেখানে বাধ্যতামূলক। সেগুলি ঠিকঠাক থাকলে তবেই রাজ্য সরকার সেই প্রতিষ্ঠানকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়। তারপর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাফিলিয়েশন বা অনুমোদন দিতে হয়। কিন্তু এই কলেজগুলির ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশে জানায়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাধিক প্রচারিত একটি বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনুমোদন প্রাপ্ত এবং অনুমোদন হীন কলেজ গুলির তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই মতো ৯৬ টি এমন কলেজের তালিকা প্রকাশ করা হয় যেগুলির অনুমোদন ছিল না।
এরপরই ওই তালিকাভুক্ত একাধিক কলেজ পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন মামলার শুনানিতে একাধিক কলেজের তরফে অভিযোগ করা হয়, সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া সত্ত্বেও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে চলতি শিক্ষা বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী জানান একাধিক কলেজেরই ফায়ার লাইসেন্স নেই। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, সমস্ত নথি ঠিক থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কলেজগুলি কি শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিতে হবে। যেসব প্রয়োজনীয় নথি থাকবেনা সেগুলি জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় বেঁধে দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিলে পাকাপাকিভাবে অনুমোদন পাবে কলেজগুলি।