সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক – আম আদমি পার্টির পর এবার ইডির নজরে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুইস খুরশিদ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। সরকারি তহবিলের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই লুইস খুরশিদের ৪৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদ এলাকার ডা. জাকির হোসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে সলমন খুরশিদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি ওই ট্রাস্টের প্রকল্পের ডিরেক্টর পদে থাকাকালীন দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রী নন, তাঁর সঙ্গে ট্রাস্টের সদস্য প্রত্যুষ শুক্লা ও ট্রাস্টের সেক্রেটারি মহম্মদ আথারের নামও জড়িয়েছে। ফারুকাবাদের এই ট্রাস্টের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে ৭১.৫ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এরপরই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নেমে লুইস খুরশিদের ২৯.৫১ লক্ষ টাকার ১৫ টি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি জমিও।
এছাড়াও তাঁর ৪ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা মোট ১৬.৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে গোয়েন্দারা বলে জানা গেছে। ২০০৯-১০ সালে, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক উত্তরপ্রদেশের ১৭ টি জেলায় সেবামূলক ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল। প্রতিবন্ধীদের কৃত্রিম অঙ্গ এবং সরঞ্জাম বিতরণের জন্য ডা. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে ৭১.৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি হিসাবে প্রদান করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি, কার্যত তছরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালে এই অভিযোগে ডা. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরে এই আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তভার নেয় ইডি।