সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ তৃণমূলে থাকাকালীন শিক্ষা দফতরের নিয়োগে দুর্নীতি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর জেলার তমলুকের সভা থেকে সেই দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী কে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, মাথাকে আমি ছাড়বো না।
রাজ্যে একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বারে বারেই আদালতে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সোমবার তমলুকের সভামঞ্চ থেকে এই দুর্নীতির দায় শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ঠেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে পকেটমারি করে, সেই প্রথম পকেটমার পকেটমার বলে চিৎকার করে।” এই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করে বলেন, “সবচেয়ে বড় পকেটমারি কে করেছে স্কুল এডুকেশনে ? ভুলে গেছেন মেদিনীপুরের লোক ?” তিনি একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দুর্নীতির কারণে যাদের চাকরি নিয়ে টানাটানি হচ্ছে তাদের চাকরি আমি খাব না। তবে মাথাকে যে আমি ছাড়বো না এটা আমি বলে দিচ্ছি।”
এদিন বেশ চাঁচাছোলা ভাষায় বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যখন পার্টিতে ছিল তখন সব থেকে বেশি পেয়েছে, সবথেকে বেশি খেয়েছে। গরিব ছেলে মেয়ের চাকরি খেয়ে বসে আছে। এই সাধুর সাধুগিরি আমি ছাড়াবো।” নন্দীগ্রামের পরাজয় যে, এখনো তাকে বেশ পীড়া দেয় সেটা বোঝা গেল যখন তিনি বললেন, “নন্দীগ্রামের কেসটা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল। কি হয়েছিল না হয়েছিল সেটার উত্তর একদিন নিশ্চয়ই মানুষ দেবে।”