সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: ১৪ই মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস। আর এই দিনেই মুকুন্দপুরের অ্যাপেলো ক্লিনিকের পক্ষ থেকে নেওয়া হল এক বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। যা নি:সন্দেহে কিডনি রোগীদের তো বটেই পাশাপাশি প্রত্যেকেরই কিডনি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখ্য ভূমিকা নেবে।
এদিন মুকুন্দপুরের অ্যাপেলো ক্লিনিকের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল কমপ্লিমেন্টারি কিডনি ডিজিজ ক্যাম্পের। যেখানে কিডনির চেক আপ, বিভিন্ন প্যারামিটার চেক করা, গ্লুকোজ টেস্ট, ইউরিন টেস্ট এবং এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতার বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট ডক্টর পার্থ সারথী মুখোপাধ্যায় ছিলেন এই গোটা উদ্যোগের সঙ্গে। আগত মানুষদের বিভিন্ন পরীক্ষার পাশাপাশি একাধিক পরামর্শও তিনি দিলেন।
তিনি যেরকমটা জানালেন এরকম এক উদ্যোগ কখনও কোথাও এত বড় মাপ করে হয়নি। তার কথায় “হার্ট ডায়াবেটিস মেয়েদের ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের স্ক্রিনিং হলেও কিডনি নিয়ে এরকম ক্যাম্প এর আগে হয়নি। এর ফলে যারা এই ক্যাম্পে আসবেন তারা যে বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন তা বলাই যায়”।
মাত্র ১০০টাকার বিনিময়ে এতগুলো পরিষেবার আয়োজন করা হয় এদিন। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন যারা এই ক্যাম্পে আসবেন তারা যেন অবশ্যই সকালের ইউরিন স্যাম্পেল নিয়ে আসেন। যে কোন বয়সের মানুষের জন্যই এই স্ক্রিনিং করানোর সুবিধা রাখা হয়। এছাড়াও যারা অনেক বছর ডায়াবেটিসে ভুগছেন প্রেশার হাই যাদের কিংবা সেই সমস্ত মানুষ যারা হয়তো অর্থাভাবে কিডনি সংক্রান্ত কোন পরীক্ষা করাতে পারেননি তারাও। সকাল ১০টা থেকে এই ক্যাম্প শুরু হয়। দেখা যায় বাংলাদেশ ঘাটাল বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসেছেন।
চিকিৎসক জানান ধূমপান কম করতে, পরিমিত জল খেতে, তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়। ৪০ বছরের পর থেকে মাংস জাতীয় জিনিস কম খেতে। প্রস্রাবের সঙ্গে ফেনা বার হলে অবিলম্বে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। এছাড়াও কমাতে হবে যথেচ্ছ পেনকিলার খাওয়ার প্রবণতা।
এই মুহুর্তে কিডনি রোগীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। অনেক কমবয়সীদেরও ডায়ালিসিস হতে দেখা যায় আর কিডনির অসুখ যেন সায়লেন্ট কিলার কখন ছড়িয়ে যায় কেউ জানে না তাই সেই রোগকে প্রতিরোধ করতে এই উদ্যোগ যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই যায়।