সঞ্জু শুর, সাংবাদিক : ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর চার দিনেই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে এই চার দিনে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৮১ কোটি টাকারও বেশি বেআইনি অর্থ। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য জানালো সিইসি দফতর।
শনিবার অর্থাৎ ১৬ মার্চ বিকেল তিনটার সময় পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশজুড়ে জারি হয়ে গিয়েছিল মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণ বিধি। তারপর মাত্র চার দিনের মধ্যে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে আদর্শ আচরণবিধি বা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭২৬ টি। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি থেকেই কমবেশি এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছে। এরমধ্যে ‘ই-ভিজিল’ অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় আড়াইশোটি।
রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন রয়েছে যে তিনটি কেন্দ্রে (কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি), সেই তিনটি কেন্দ্রে ২০ মার্চ বিকাল তিনটে পর্যন্ত জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম স্থানেই রয়েছে কোচবিহার। কোচবিহারে মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ৫,৭২৬ টি। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের অভিযোগ জমা পড়েছে ৩,৪৫৮টি এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের অভিযোগ জমা পড়েছে ১,৯২৩টি। প্রসঙ্গত ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে প্রথম সংঘর্ষের ও পুলিশ কর্মীর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এই কোচবিহার কেন্দ্রেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ-র ঝামেলার মধ্যে পড়ে মঙ্গলবার রাত্রে মাথা ফাটে দিনহাটার এসডিপিও-র। এই ঘটনায় কোচবিহারের জেলাশাসক ও এসপির রিপোর্ট নিয়েছে সিইও দফতর। এমনকি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও। এদিকে এই চার দিনে বেআইনি অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৮১ কোটি। বাজেয়াপ্ত করা অর্থের মোট মূল্য হল ৮১ কোটি ২১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯০৩ টাকা।