সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : ব্রিগেডের জনগর্জন সভার রেশ কাটার আগেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচি পালন করতে হবে দলের ৪২ টি আসনের সব প্রার্থীকেই। কর্মসূচির অন্যতম অংশ হলো ১০ দিনের পদযাত্রা। যে পদযাত্রার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার অধিকার যাত্রা’।
কেন্দ্রিয়ভাবে রবিবার ব্রিগেডের ময়দানে ‘জনগর্জন সভা’ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর জেলায় জেলায় একই ধরনের জনগর্জন সভা করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার শুরু বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থেকে। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৬ মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়, ১৮ তারিখ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, ২০ তারিখ উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও ২২ তারিখ পূর্ব বর্ধমানে জনগর্জন সভা করবেন অভিষেক। প্রার্থীদের সমর্থনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সভাও শুরু হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো বা অভিষেক তাঁদের মতো করে সভা সমিতি করলেও, প্রার্থীদের জন্য প্রচার কর্মসূচির একটা রুপরেখা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
‘বাংলার অধিকার যাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের ৪২ জন প্রার্থী তাঁদের নিজ নিজ কেন্দ্রে ১০ দিন ধরে পদযাত্রা করবেন। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে এই কর্মসূচির সূচনা করা হচ্ছে। কেন্দ্রগুলি হলো মেদিনীপুর, তমলুক, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট, মালদহ দক্ষিণ ও উত্তর। এই পদযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদেরকে জেলার বিশেষ করে তাঁর লোকসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলতে হবে। করতে হবে কর্মি সম্মেলন। পাশাপাশি প্রচারের যেসব সাধারণ ধারা যেমন, ছোটো ছোটো জনসভা, স্ট্রিট কর্ণার, ঘরোয়া বৈঠক বা দরজায় দরজায় গিয়ে পরিচিতি হওয়া, সেগুলোও করতে হবে।
বিশেষ করে বলে দেওয়া হয়েছে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বঞ্চিত একশো দিনের কাজের শ্রমিক বা আবাস যোজনার বঞ্চিত উপভোক্তাদের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বোঝাতে হবে। এবং অবশ্যই সেক্ষেত্রে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার যে বঞ্চিত জব কার্ড হোল্ডারদের বকেয়া টাকা দিচ্ছে সেটাও পইপই করে বুঝিয়ে বলতে হবে। বিজেপি রাজ্যের ১৯ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সম্ভবতঃ বুধবারেই তারা বাকি আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দিতে পারে। কংগ্রেস বা বামেরা এখনও জোট গঠন নিয়ে ব্যস্ত। এমন অবস্থায় রাজ্যের ৪২ টি আসনের প্রার্থীর নাম শুধু একযোগে ঘোষণা করাই নয়, তৃণমূলের প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই প্রচারেও নেমে পড়েছেন। ভোট ঘোষণার আগেই প্রচার কর্মসূচির রোড ম্যাপ তৈরি করে দিয়ে তৃণমূল আসলে অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে থাকতে চাইছে।