নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল বাতিল হওয়ায় অথৈজলে যেমন চাকুরিহারা রা। তেমনই সমস্যায় পড়েছেন একাধিক সরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী বাড়ন্ত হলে সব কাজ ঠিকঠাক সময়মতো হবে কি করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।
২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল বাতিল হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। এই রায়ের ফলে প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন এখন প্রশ্ন কারা থাকবেন আর কারা পড়াবেন? পাশাপাশি পঠন পাঠন ছাড়াও অন্যান্য কাজ করে থাকেন গ্রুপ সি গ্রুপ ডি র কর্মচারীরা। এই সমস্ত কাজই বা কি করে হবে? এমনই প্রশ্ন শিক্ষকমহলের। এখন স্কুলগুলিতে চলছে গরমের ছুটি। স্কুল খুললে কী অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে তা ভাবাচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বর্তমানে সারা বছরই পরীক্ষা, মূল্যায়ন, ফলাফল বাংলার শিক্ষা পোর্টালে তোলার কাজ করতে হয়। দিনের পর দিন কাজের চাপ বাড়ছে। যা আরও বাড়বে বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের। তার কারণ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালুর হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী বাড়ন্ত হলে সব কাজ ঠিকঠাক সময়মতো হবে কি করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় একাধিক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। বিশেষ করে যে সব স্কুলের একাদশ-দ্বাদশের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক এই রায়ের আওতায় পড়েছে। সেই স্কুলগুলি বেশি চিন্তিত।
একটা রায়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকুরীরত মানুষ আজ চাকরিহীন হয়ে পড়েছে। তাই সুবিচারের আশায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হতে চলেছেন এই সমস্ত চাকরিহারারা।
আরো পড়ুন: মালদহে প্রাথমিকে ২৫০ জন শিক্ষককে নিয়োগের নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ।