নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : গরমে হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে। বাইরের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। বাড়িতেও কুলার বা এসি একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে। এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই তীব্র গরমে জেরবার দক্ষিণবঙ্গবাসী। বাড়ির বাইরে পা ফেলা দায় হয়ে উঠেছে। তবে শুধু এসি বা কুলার নয়। এই গরম থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে মানুষের হাতের নাগালে। প্রকৃতির অন্দরমহলে এমন কিছু গাছ আছে যা বাড়ির আবহাওয়া ঠান্ডা রাখার পরিপন্থী। উদ্ভিদবিদদের মতে, বাড়ির অন্তরমহলে যে সমস্ত গাছ লাগানো যায় সেগুলিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। তার জেরেই এর থেকে গরম হাওয়ার বদলে ঠান্ডা হাওয়া নির্গত হয়। আবার বাতাসে আর্দ্রতাও বজায় থাকে। আবার স্নেকপ্ল্যান্ট বাড়ির অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে এবং বাতাস দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। যা এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে বাড়িকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই গাছ কুলার ও এসির থেকে অনেক বেশি উপকারী। বাড়ীর ভেতরে এই গাছ লাগানো হলে বাড়ীও ঠান্ডা থাকবে। পাশাপাশি গুনতে হবে না অতিরিক্ত ইলেকট্রিক বিলও।
এমন কিছু বাহারি গাছ আছে যেগুলো ঘরে থাকলে ঘরের শোভাযেমন বাড়বে তেমনই ঘরকে প্রাকৃতিক উপায়ে ঠান্ডা রাখে। যেমন-
আইভি লতা, পাতাবাহার, মানিপ্ল্যান্ট, বাহারি কচু, পাম, স্পাইডার প্লান্ট, চায়নিজ এভারগ্রিন, স্নেক প্লান্ট, বস্টন ফার্ন, ফিকাস, ইংলিশ আইভি ও রাবার প্ল্যান্ট। এই গাছগুলির মধ্যে কোনও কোনও গাছে জলের পরিমান বেশি থাকায় বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে। আবার কোনও গাছের পাতা ছোট ছোট থাকায় হাওয়ায় দোলা লাগলে যেমন ভাল লাগে দেখতে আবার এই গাছ বাড়ির তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। এই গাছের পাতাগুলি ঘরের ভিতরে ভিন্ন ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই এই গরমে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠন্ডা রাখতে গাছ লাগানোর পদ্ধতি অবলম্বন করা খুব ভালো বলে মত উদ্ভিদবিদদের।