Date : 2024-05-05

বিজেপির বলির পাঁঠা চাকরি প্রার্থীরা, সরব ব্রাত্য কুণাল

ঋক পুরকায়স্থ, সাংবাদিক: এসএসসি নিয়োগ মামলার রায় দানের পর ক্রমাগত প্রশ্ন উঠছে এই রায় নিয়ে। বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে নির্বাচনী মাসে সর্বাধিক আলোচনার বিষয় এই এসএসসি মামলার রায়। আর এই সময় বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কুণাল ঘোষ ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রথমেই ২০ এপ্রিলের একটি ভিডিও সামনে আনেন যেখানে ২০ এপ্রিলের একটি ভিডিও যেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, “আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন একটা বোম পড়বে যে তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে।” ঠিক তার পরেই ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এই রায় দেওয়া হয়। তারপর ২৫ তারিখ বিজেপির ওন্দা বিধানসভার বিধায়ক অমরনাথ শাখা তারও একটি ভিডিও পেশ করা হয়। যেখানে তিনি বলছেন, “৩০ তারিখ আসছে, আরো ৫৯ হাজার লোকের চাকরি যাবে শুধু সময়ের অপেক্ষা।” এই ভিডিও দেখানোর পরই শুরু হয়েযায় সাংবাদিক সম্মেলন। শুরুতেই কুণাল ঘোষ বলেন যে, “আপনারা ক্রোনোলজিটা দেখুন বিজেপি যা বলছে তাই হচ্ছে তাহলে কি বিজেপি ঠিক করে দিচ্ছে যে কি করা হবে।”

এরপরই তিনি বলেন যে ওএমআর বদলের দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি আরো বলেন, “যিনি অন্যায় করেছেন দায় তাঁদের। দল পার্থকে বলেনি এইসব কাজ করতে। দল বলে দেয়নি অমুকের সঙ্গে প্রেম করুন, তমুকের বাড়িতে টাকা রাখুন। তিনি নিজ দায়িত্বে করেছেন, দল এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। দলের ঘাড়ে চাপিয়ে কি লাভ?” তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা অযোগ্য বা যাদের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাদের নিয়ে তদন্ত হোক। সেই সব নাম এসএসসি প্রকাশ্যে এনেছে। তা হলে বাকিদের চাকরি খেয়ে কি ন্যায়বিচার হল?’’

এখন থেকে যে পরীক্ষাই হোকনা কেন তার ওএমআর সংরক্ষিত করে রাখা হবে ১০ বছর। চাকরি হারানোদের বলির পাঁঠা ভাবছে বিজেপি এমনটাও মন্তব্য ব্রাত্য বসু। তিনি আরো বলেন, “ছেলেমেয়ে গুলোকে বলির পাঁঠা ভাবছে বিজেপি। এদের জন্য কোনো দরদ নেই বিজেপির। দরদ আছে শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানিয়েছেন যোগ্যদের জন্য যতদূর যাওয়ার তিনি যাবেন। ৮ শতাংশ অযোগ্য বাকি ৯২ শতাংশ যোগ্য।”