নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাম নবমী পালন ঘিরে বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়াকে প্রথমে রাম নবমী পালনে অনুমতি দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করল কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় প্রত্যাহার, বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বুধবার দেশজুড়ে পালিত হয় রামনবমী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রামনবমী পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া। তাদের আবেদনে অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপরই শুরু হয় সমস্যা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বেশ কয়েকজন ছাত্র এসে অভিযোগ জানায় তাঁরা হুমকি চিঠি পাচ্ছে। যেখানে শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করে কর্তৃপক্ষ। আর তাই জরুরি ভিত্তিতে শেষ মুহূর্তে অনুমতি প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে অয্যোধ্যায় রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়।রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। উত্তপ্ত হওয়ার মূলে ছিল একটি পোস্ট। যেখানে লেখা ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হবে ক্যাম্পাসের মধ্যে। যার আয়োজক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি পোস্ট ঘুরতে থাকে। যা নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল। অন্যদিকে বাম ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছিল যাদবপুরের ভিতরে কোনও বিভাজনমূলক রাজনীতি তারা বরদাস্ত করবে না। এরপর স্ক্রিনিং শুরু হলেই বিরোধ বাধে বাম-ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে স্ক্রিনিংয়ের পক্ষের পড়ুয়াদের। বিরোধ হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগে সামাল দেন কর্তৃপক্ষ। আবারও রামনবমী পালনের অনুমতি চাই কয়েকজন পড়ুয়া। প্রথমে কর্তৃপক্ষ সেই অনুষ্ঠান পালনে অনুমতি দিলেও। পরে ক্যাম্পাসের শান্তি- শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় তা প্রত্যাহার করে।