প্রবীর মুখার্জি, সাংবাদিক ঃ জয়ের হ্য়াটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে তিনি। এবার জিততে পারলেই টানা তিনবার একই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আরও একবার সংসদে যাবেন তিনি। উত্তর প্রদেশের মথুরায় এমনই এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বলিউডের ড্রিমগার্ল(Dreamgirl)। হ্যাঁ। ঠিকই ধরেছেন হেমা মালিনীর কথাই বলছি। তবে এবার জয়ী হলে মোট পাঁচ বার সাংসদ হবেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথমবার মথুরা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জয় পেয়েছিলেন এই বলিউডি অভিনেত্রী। কিন্তু তারও আগে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন কর্ণাটক থেকে। সেটা ২০১১ সালের কথা। তবে রাজনীতিতে হেমার প্রবেশ তারও বেশ খানিকটা আগেই। ১৯৯৯ সাল, পঞ্জাবের গুরুদাসপুর লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী আর এক অভিনেতা বিনোদ খান্নার হয়ে প্রচারে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান ২০০৪ সালে। তার আগেই ২০০৩ সালে তিনি তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এ পি জে আব্দুল কালাম কর্তৃক মনোনীত হয়ে রাজ্য় সভার সাংসদ হন। প্রথমবার লোকসভায় লড়াই করে আরএলডি-র জয়ন্ত চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদে প্রবেশ করেন।
বিতর্কও কিন্তু একসময়ে তাড়া করেছিল হেমা মালিনীকে। তাঁর ডান্স অ্য়াকাডেমির জমি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। যদিও সেই জমি এখনও গ্রহণ করেন নি মথুরার বিদায়ী সাংসদ। ১৯৬৩ সালে একটি তামিল ছবির মাধ্যমে ফিল্ম দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ তাঁর। ৬৮ সালে স্বপ্ন কি সওদাগর ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ। ৭৭ সালে ড্রিমগার্ল(Dreamgirl) ছবিতে অভিনয়ের সৌজন্য হেমার নামও হয়ে যায় ড্রিমগার্ল(Dreamgirl)। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হেমা ইসকনের আজীবন সদস্য। তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরই পুরোদস্তুর প্রচারে নেমে পড়েন তিনি। নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে নিজেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গোপী বলে তুলে ধরেন। ।যেহেতু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ব্রজবাসীদের ভালোবাসেন। তাই ব্রজবাসীদের আন্তরিক সেবা করলেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ লাভ সম্ভব বলেই মনে করেন জয়ের হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা হেমা মালিনী। সত্যিই কি তিনি জনতা-জনার্দনের আশীর্বাদ পেয়ে ফের লোকসভায় প্রবেশ করবেন..! হয়ে উঠতে পারবেন কি রাজনীতির ‘ড্রিমগার্ল’ ! তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে জুন মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: দুশ্চিন্তার মধ্যে একাধিক সরকারি স্কুল।