সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল: উত্তর দমদম পুরসভার বাউন্ডারি ওয়ালের বাইরে থাকা ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার(Transformer) থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অস্থায়ী দোকানে, অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত দুটি দোকান। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর দমদম পুরসভার বাউন্ডারি ওয়ালের বাইরে থাকা ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমারে শর্ট সার্কিটের(Short-circuit) জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে রাস্তার পাশের দুটি অস্থায়ী ফাস্ট-ফুডের দোকানে, নিমেষে ভষ্মীভূত হয় দুটি দোকান।
পৌরসভার পক্ষ থেকে দমকলে খবর দেওয়া হলে একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলের গাড়ি আসার আগেই ভষ্মিভূত হয় দুটি দোকান। প্রায় আধঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনের মতো আজও উত্তর দমদম পুরসভায় প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। হঠাৎ করে আগুন লেগে যাওয়ার কথা শুনে আতঙ্কে এদিক-ওদিক প্রাণ সংশয়ে পালিয়ে যেতে থাকেন পৌর কর্মী থেকে শুরু করে পৌরসভায় আগত মানুষজনরা। আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসে নিমতা থানার পুলিশ। তারাই জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন এলাকা ফাঁকা করে দিতে। ততক্ষণে অটোস্ট্যান্ড থেকে অটো সরিয়ে নিয়েছেন অটো চালকরা। এই আগুনের ফলে ট্রেন থেকে বিরাটি স্টেশনে নামা যাত্রীদের ঘুর পথে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। দমকলের কর্মীরা প্রথম দিকে বিরাটি ব্রিজের উপর থেকেই আগুন নেভানোর জন্য জল দিতে থাকেন। পাশাপাশি পৌরসভার যে দেওয়াল তা ঠান্ডা করতে দেয়ালেও জল ছেটাতে হয়। ততক্ষণে ব্রীজের উপরে প্রচুর মানুষের ভিড়, বেশ কয়েক জায়গায় রটেও যায় যে পৌরসভায় আগুন লেগেছে। প্রথম দফায় ব্রীজের উপর থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে পরে অবশ্য পৌরসভার গেটের সামনে থেকে আধ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। এর জেরে গোটা এলাকা দীর্ঘক্ষন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সিএসসি পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ওভারলোডিং এর ফলে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।