সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : বুধবার মূর্শিদাবাদের রেজিনগরের শক্তিপুরে রাম নবমীর মিছিল কে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে ইসলামপুর স্টেডিয়ামে এক রাজনৈতিক নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রামনবমী কে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কার কথা শুনিয়ে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী সভায় তিনি নিয়ম করে একটা দাবি করছিলেন যে ১৯ তারিখ প্রথম দফার নির্বাচন রয়েছে সারা দেশে। তার আগে ১৭ তারিখ রামনবমীর দিন দাঙ্গা বাধাতে চাইছে বিজেপি। আর সেই দাঙ্গার রেশ ধরেই ভোট বাক্সে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। এমনটাই অভিমত ছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার সারা রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালন হলেও দুই একটি জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শক্তিপুরে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অসমে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। তারপর বৃহস্পতিবার দিন সকালে তিনি রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে ইসলামপুর স্টেডিয়াম মাঠের রাজনৈতিক সভা থেকেই এই বিষয়ে (রাম নবমীর দিনের সংঘর্ষ) তার মত জানালেন। ইলেকশন কমিশনের দিকে আঙুল তুলে বিস্ফোরক অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রামনবমীর একদিন আগে কেন তুমি মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজিকে সরালে ? যাতে কেউ হিংসা ছড়াতে পারে ?” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কে তোমাকে বলেছিল রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি করতে ? মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, প্ল্যান করেই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান বিজেপির গুন্ডাদের হাতে স্থানীয় থানার ওসি আহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি পদে থাকা শ্রী মুকেশ কে ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দিলে তখনও মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছিলেন, এরপর মালদা মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলে তার দায় কি ইলেকশন কমিশন নেবে ? বৃহস্পতিবার রামনবমীর দাঙ্গা কে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর ইলেকশন কমিশন কোন বিবৃতি দেয় কিনা এখন সেটাই দেখার।