Date : 2024-05-04

হাইকোর্টের রায়ে খুশি নয়, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল নিয়ে ঐতিহাসিক রায়দান কলকাতা হাইকোর্টের। হাইকোর্টের রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এসএসসি। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনের পর এমনই জানান এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেন, ৫০০০ নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সিবিআই। এগুলির নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ ছিল। বাকি প্রায় ১৯০০০-এর ব্যাপারে কী অভিযোগ? তাদের কেন চাকরি গেল? যা এখনও পরিষ্কার নয় এসএসসি -র কাছে।তাই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সর্বোচ্চ আদালতে যাবে কমিশন।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আরও জানান,ওএমআর শিটের পুনর্মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও গাইডলাইন নেই। ৩৫০ টির বেশি মামলা। ফলে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। চেয়ারম্যানের বক্তব্য,মেয়াদ উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে যে তথ্য কোর্টকে দেওয়া আছে তাতে ১৮৫ ছিল র‍্যাঙ্ক জাম্পিং ও তালিকা বহির্ভূত। হলফনামায় তা দেওয়া আছে আদালতে।সুপার নিউমেরারি পোস্টে যাদের নিয়ে তদন্ত তাদের একজনকেও এসএসসি সুপারিশ করেনি, জানালেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। সুপার নিউমেরারি পোস্টে ফিজিকাল এডুকেশন ও ওয়ার্ক এডুকেশন ‘নট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন’। তাদের মধ্যে ১২৮০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। ওটা তদন্তে নেই বলে জানান তিনি। নতুন নিয়োগ শুরু নিয়ে বা তার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এখনই কিছু বলে নি কমিশন। সিদ্ধার্থবাবু জানান, কমিশনের কাজ নিয়োগ করা। সরকার নির্দেশ দিলে প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কিন্তু আদালত জানিয়েছে ফ্রেশ নিয়োগ নয়। ওএমআর পুনর্মূল্যায়ন। তাই সিবিআইয়ের থেকে হার্ড ডিস্ক নিয়ে দেখা হবে সেখানে কী কী পাওয়া যায়।

সোমবারের রায়ে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল। অর্থাৎ ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল। এই রায়ে খুশি নয় যেমন কমিশন তেমনই খুশি নয় আন্দোলনকারী চাকুরিপ্রার্থীরা। ১১৩৫ দিন ধরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরীর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন তারা হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। তবে সোমবার রায় বেরোনোর পর এই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চাকুরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি নেই। তাদের বক্তব্য, তাদের জীবন আবারও অনিশ্চিয়তার মধ্যে চলে গেল। সেই একটাই প্রশ্ন তাদের মুখে চাকরি কবে পাব?